ব্রয়লার মুরগি ২৩০, সোনালী ৪২০: এক মাসে কেজিতে দাম বেড়েছে ৫০ টাকা পর্যন্ত

স্টার ফাইল ফটো

মুরগির দাম এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৪০-৫০ টাকা। সাম্প্রতিক তাপদাহকে এর জন্য দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, তাপদাহে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রচুর মুরগি মারা গেছে।

মিরপুর-১১, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, ইব্রাহিমপুর, কচুক্ষেত ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত মাসের তুলনায় চলতি মাসে সব ধরনের মুরগির মাংসই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মিলন মিয়া বলেন, 'আমাদের পরিবারের সদস্য মোট ছয় জন। সাধারণত প্রতি মাসে ১০টি সোনালী মুরগি কিনি। কিন্তু এখন দাম বেশি, প্রতি কেজি ৩৮০ টাকা। যার কারণে এ মাসে পাঁচটি কিনতে পারলাম।'

কারওয়ান বাজারে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে মিলন বলেন, 'একটু কম দামে পাওয়া যায় কি না সেটা দেখার জন্য প্রায় প্রতিটি দোকানে গিয়েছি। কিন্তু সব দোকানেই একই অবস্থা।'

ইব্রাহিমপুর বাজারে কথা হয় ময়না বেগমের সঙ্গে। তিনি জানান, বাসায় অতিথি এলেও বেশি দামের কারণে তাকে ছোট মুরগি কিনতে হয়েছে।

তিনি বলেন, 'এক কেজিরও কম ওজনের একটি মুরগি কিনলাম ৩৫০ টাকা দিয়ে।'

কারওয়ান বাজারের পোল্ট্রি বিক্রেতা জসিম উদ্দিন জানান, তার বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।

জসিম দুই ধরনের মুরগি বিক্রি করেন। এখন সোনালী মুরগির দাম প্রতি কেজি ৪০০-৪২০ টাকা এবং হাইব্রিড সোনালী মুরগির দাম ৩৮০-৩৯০ টাকা।

জসিম জানান, ঈদুল ফিতরের আগেও এসব মুরগির দাম প্রতি কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কম ছিল।

এ ছাড়া, ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ২২০-২৩০ টাকা। 

নোয়াখালী পোল্ট্রির স্বত্বাধিকারী বাবুল মিয়া জানান, মুরগির সরবরাহ অনেক কমে গেছে। 'আমরা যেগুলো পাই সেগুলো বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়।'

এই বিষয়ে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (প্রান্তিক) সভাপতি সুমন হাওলাদার জানান, সারা দেশে এ বছরের তীব্র তাপদাহের কারণে অনেক পোল্ট্রি ফার্মে ৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মুরগির মৃত্যুর হয়েছে। ফলে, বাজারে মুরগির সরবরাহ কমে গেছে।

তিনি বলেন, 'পোল্ট্রি খামারিরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মুরগির দাম বাড়িয়েছেন। তবে এর জন্যও সময় লাগবে।'

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

6h ago