বেনিনে অবৈধ তেলের ডিপোয় আগুনে নিহত অন্তত ৩৫
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বেনিনের একটি তেলের ডিপোতে বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগলে অন্তত ৩৫ জন নিহত হন। কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুনের ফলে ঐ এলাকার পুরো আকাশ কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।
আজ রোববার আল জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে।
নাইজেরিয়ার সীমান্তবর্তী শহর সেমেপোজির এই ডিপোতে পাচার হয়ে আসা জ্বালানী তেল সংরক্ষণ করা হত বলে জানা গেছে। গাড়ি, মোটরসাইকেল ও ট্রাইসাইকেলে এখান থেকে তেল সংগ্রহ করে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।
স্থানীয় কৌসুলী আবদুবাকি আদম-বোংলে এক বিবৃতিতে জানান, 'আগুনে দোকানটি ধ্বসে পড়ে এবং প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এক শিশুসহ ৩৫ জন নিহত হয়েছেন।'
'প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুব সম্ভবত ব্যাগ থেকে পেট্রোল ঢালার সময় আগুনের সূত্রপাত হয়', যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, ১২ জনেরও বেশি ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই দুর্ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। আল জাজিরা এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করতে পেরেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বাজারের ওপরে আকাশ কালো ধোঁয়া ও আগুনের শিখায় ছেয়ে গেছে। নিরাপদ দূরত্বে থেকে কিছু মানুষ আতঙ্ক নিয়ে এটি দেখছেন।
বেনিনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলাসান সেইদৌউ বলেন, 'পাচার হয়ে আসা তেল এই আগুনের কারণ।' তিনি জানান, মরদেহগুলো আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে।
নাইজেরিয়া-বেনিন সীমান্তে তেল চোরাকারবার খুবই সাধারণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। নাইজেরিয়া এ অঞ্চলের অন্যতম প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশ। সীমান্তবর্তী শহরগুলোতে বেশ কিছু অবৈধ তেল পরিশোধনাগার, তেলের ডিপো ও পাইপলাইন তৈরি হয়েছে, যা প্রায়ই আগুনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এক স্থানীয় মোটরসাইকেল চালক সেমোভো নৌনাগনন এএফপিকে বলেন, 'আমি আগুনের কারণ জানি না। তবে সেখানে একটি বড় তেলের ডিপো আছে, যেখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাড়ি, ট্রাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল আসা যাওয়া করে।'
বেনিনের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে তারা আগুনের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত প্রক্রিয়া চালু করেছে।
Comments