ভারতের পুঁজিবাজারে আদানি গ্রুপের ৩ প্রতিষ্ঠানের ওপর বাড়তি নজরদারি প্রত্যাহার

আদানি গ্রুপের মালিক গৌতম আদানি। ফাইল ছবি: রয়টার্স
আদানি গ্রুপের মালিক গৌতম আদানি। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই) ও বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) আদানি গ্রুপের ৩ প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে বাড়তি নজরদারি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে।

ভারতের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার জানানো হয়, আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পাওয়ার ও আদানি উইলমারকে স্বল্প মেয়াদি বাড়তি নজরদারির (এএসএম) বাইরে রাখা হবে।

স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়, ১৭ মার্চ থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে।

আদানি গ্রুপ নিয়ে চলমান সংকটের মধ্যে ৮ মার্চ এনএসই ও বিএসই ধনকুবের গৌতম আদানির মূল প্রতিষ্ঠান আদানি এন্টারপ্রাইজসহ উল্লেখিত ৩ প্রতিষ্ঠানকে বাড়তি নজরদারি অবকাঠামোর আওতায় নিয়ে আসে।

বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো প্রতিষ্ঠানের স্টককে স্বল্প মেয়াদি এএসএমের আওতায় আনার অর্থ হচ্ছে একই দিনের মধ্যে এসব স্টক বেচাকেনা করতে হলে শতভাগ 'আপফ্রন্ট মার্জিন' দিতে হবে। অর্থাৎ, কেনার প্রক্রিয়ার শুরুতেই পুরো মূল্য পরিশোধ করতে হবে। এতে শেয়ার বিক্রি সংক্রান্ত ঝুঁকি কমে আসে এবং খেলাপি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ ভবন। ছবি: রয়টার্স
ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ ভবন। ছবি: রয়টার্স

কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম অস্থিতিশীল হলে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এগুলোকে স্বল্প অথবা দীর্ঘ মেয়াদে নজরদারিতে নিয়ে আসে, যাতে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি না হয়।

আদানি গ্রুপের পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬টি গতকাল ইতিবাচক ফল দেখিয়েছে, আর ৪টির দরপতন হয়েছে।

মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিনডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গ্রুপে অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই পুঁজিবাজারে প্রতিষ্ঠানটি খারাপ অবস্থায় আছে।

এ মুহূর্তে পরিস্থিতি আগের তুলনায় বেশ ভালো এবং আদানির বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তবে সার্বিকভাবে ভারতের পুঁজিবাজারের মন্দা পরিস্থিতি এখনো কাটেনি।

হিনডেনবার্গের প্রতিবেদনে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক লেনদেন ও শেয়ারের দাম নিয়ে কারসাজির অভিযোগ আনা হয়। প্রতিষ্ঠানটি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, তারা সব ধরনের আইন মেনেই ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে।

আদানি গ্রুপের স্বত্বাধিকারী গৌতম আদানি ব্লুমবার্গের ধনী ব্যক্তির তালিকায় এশীয়দের মধ্যে শীর্ষে ও বিশ্বে সেরা ১০ এ থাকলেও এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর তার প্রতিষ্ঠানের শেয়ার মূল্য ক্রমাগত কমতে থাকায় বর্তমানে তালিকার ২১তম স্থানে আছেন। এ মুহূর্তে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৫৬ বিলিয়ন ডলার। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মুকেশ আমবানি ৭৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার নিয়ে ১২তম অবস্থানে আছেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Israel army says Iranian missiles fired 'short while ago'

Trump brokered ceasefire agreement in contact with Israel, Iran: White House official

2d ago