আদানি বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কার সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন

২০২২ সালে আদানি গ্রিন এনার্জির সঙ্গে চুক্তি নিয়ে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের আদানি গ্রুপের অঙ্গসংস্থা আদানি গ্রিন এনার্জির সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির তৈরি দুটি বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ২০ বছরের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি করেছে শ্রীলঙ্কা।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার মান্নার ও পুনেরিনে বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উন্নয়নে ৪৪২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার মাধ্যমে ৪৮৪ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করার অনুমোদন পায় আদানি গ্রুপ।

তবে এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পরিবেশগত ঝুঁকি ও চুক্তিতে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে পিটিশন জমা দিয়েছে পরিবেশবাদী সংস্থা ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড নেচার প্রোটেকশন সোসাইটি (ডব্লিউএনপিএস)।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানায়, গত ১৬ মে শ্রীলঙ্কার সুপ্রিম কোর্টে ডব্লিউএনপিএস একটি পিটিশন জমা দিয়েছে। এতে 'মান্নার দ্বীপের অনন্য বাস্তুতন্ত্র রক্ষায়' ওই বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করা হয়েছে।

পিটিশনে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি 'বিশেষ করে মান্নারের অনন্য জীববৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করেছে।' এতে আরও বলা হয়েছে, 'মান্নার অসংখ্য পরিযায়ী প্রজাতির আবাসস্থল। এছাড়াও বেশ কয়েকটি দেশীয় জলজ পাখি এবং বাদুড়েরও আবাসস্থল এটি।'

প্রকল্পটিকে ভারত সরকারের সঙ্গে শ্রীলংকার সরকারের চুক্তি বলা হলেও ভারত সরকারের কাছ থেকে কোনো অবদান, অনুদান বা ঋণের বিবরণ জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি বলেও পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া প্রকল্পটি অনুমোদন পাওয়ার আগে শ্রীলঙ্কার টেকসই জ্বালানি কর্তৃপক্ষ এর পরিবেশগত প্রভাব নিয়ে যে মূল্যায়ণ ও বিবরণ দিয়েছিল সেটির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও পিটিশনে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বোর্ড অন ইনভেস্টমেন্ট ভারতের আদানি গ্রিন এনার্জির সঙ্গে ৪৪২ মিলিয়ন ডলারের বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। এছাড়া, আদানি গ্রুপ কলম্বো বন্দরে একটি কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণের জন্যও প্রায় ৭০০ ডলার মিলিয়ন বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
BNP rally venue

BNP agrees to 10yr PM cap, objects to NCC

Party leaders said the decision was made to improve the BNP's image ahead of the next general election, as sticking to the previous stance was drawing criticisms.

9h ago