ধরে নিলাম নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না। কিন্তু তার দ্বারা কি নিশ্চিত হওয়া যাবে যে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে? মোটেই না। কেননা নির্বাচন আর যাই করুক রাষ্ট্রের চরিত্রে কোনো মৌলিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে...
মানুষে মানুষে সহমর্মিতার ভিত্তিতে যে ঐক্য ও দেশপ্রেম গড়ে উঠেছিল তাও ছিল অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই অপরাজেয়।
আমাদের বাংলা সাহিত্যে যে আধুনিকতার কথা আমরা জানি, সেটা হচ্ছে কলোনিয়াল আধুনিকতা।
বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হলো তখনো কিন্তু আমাদের সেই রেশন কার্ডের কাছে যেতে হচ্ছে—তেলের জন্য, কাপড়ের জন্য।
তখন আমাদের গ্রামে এত শ্রেণিবিভাজন ছিল না। সাম্প্রদায়িকতা তো ছিলই না।
বাংলাদেশের এমপি-মন্ত্রীরা পুঁজিবাদী দীক্ষায় দীক্ষিত। তারা উপনিবেশিকতার চর্চা করে চলেছেন।
রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা আগেও ঘটেছে, কোনোটিরই যথার্থ তদন্ত হয়নি, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ তো ঘটেইনি। বারবার অপরাধীরাও যদি পার পেয়ে যায় তবে আগামীতে বিপদ যে বাড়বে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
কিন্তু বিপদ তো কেবল প্রকৃতির নয়, মানুষেরও। প্রকৃতির প্রতিশোধ বলে একটা ব্যাপার আছে, প্রকৃতি সেই প্রতিশোধটা নিচ্ছে। বিশ্বব্যাপী মানুষ আজ যতটা বিপন্ন তেমনটা আগে কখনো দেখা যায়নি।
কেবল ছাত্রলীগ নয়, অন্য তরুণরাও উচ্চমাত্রার স্মার্টনেস প্রদর্শন করে নানা ধরনের অপরাধ করে চলেছে। কিশোর গ্যাং-এর তৎপরতার সংবাদ তো যত্রতত্র পাওয়া যাচ্ছে। অভাব নেই। শিক্ষকরাও কম যাচ্ছেন না।
মনে হয়েছিল করোনার বিরুদ্ধে মানুষ এক সাথে লড়বে। কারণ বিপদটা তো সকলেরই। উন্নত দেশ থেকে শুরু হয়েছে, ছড়িয়ে পড়েছে দুনিয়াজুড়ে। তাই প্রতিরোধে প্রতিকারে নেতৃত্ব দেবে উন্নতরাই। সেটা তারা দিয়েছেও। টিকা...
তা গাছ বলি আর নদীই বলি, উভয়েই খুব বিপদে আছে। কাঠুরেরা তখন অনেক বেশি তৎপর বৃক্ষনিধনে। দখলদাররা সারাক্ষণ ব্যস্ত নদী দখলে ও দূষণে। প্রকৃতি নিজেই তো বিপন্ন।
অনেক নেতার ‘গুরু’ ও পথপ্রদর্শক সিরাজুল আলম খান। মেধায়, পরিশ্রমের শক্তিতে এবং সংগঠন গড়বার ক্ষমতায় সিরাজুল আলম ছিলেন অসাধারণ; আগামীতে তিনি যে কিংবদন্তী হয়ে উঠবেন তার লক্ষণ তখনই দেখা যাচ্ছিল। মাহবুবের...
মামলা-মোকদ্দমা নেই, ঘুষ উঠে গেছে, তদ্বির অপ্রয়োজনীয় এবং কারাগার পরিণত হয়েছে অতীতের স্মৃতিতে- এমন অবস্থা মোটেই সুখকর হবে না অপরাধ দমন ও শাস্তি বিধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকদের জন্য।
তা ইতিহাসের মুক্তির কথা তো বলছি, কিন্তু ওই বস্তুটা কী তা ঠিক করে নেওয়া চাই প্রথমেই। ইতিহাসের মুক্তি বলতে রাজা-বাদশা বিশেষ শ্রেণী বা গোষ্ঠীর মুক্তির কথা অবশ্যই বোঝাচ্ছি না। বোঝাচ্ছি মানুষের সমষ্টিগত...
পুঁজিওয়ালাদের ভাবটা এখন এই রকমের যে বিশ্বায়নের দিন শেষ। বিশ্বায়নের নয়, দিন শেষ আসলে পুঁজিবাদেরই। আচ্ছাদনে-বাদশাহি কিন্তু ভেতরে-পুঁজিবাদী সৌদি আরবের শাসকেরাও এখন আর নিরাপদে নেই।
গণবিক্ষোভ ও আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাবার জন্য ব্রিটিশ গভর্নমেন্ট আয়োজন করেছিল সাধারণ নির্বাচনের। নির্বাচনের পরে দাঙ্গা বাধে, এবং ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে যাবার দিকে অনিবার্যভাবে অগ্রসর হয়। বলাবাহুল্য...