ইউসিএলএ ক্যাম্পাসে পুলিশ, ইসরায়েলি গণহত্যাবিরোধী বিক্ষোভ দমনে গ্রেপ্তারের হুমকি

ক্যাম্পাসে এ মুহূর্তে বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আল জাজিরার লস অ্যাঞ্জেলস সংবাদদাতা। 
ইউসিএলএ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের জন্য জমায়েত হয়েছে পুলিশ। ছবি: রয়টার্স
ইউসিএলএ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের জন্য জমায়েত হয়েছে পুলিশ। ছবি: রয়টার্স

রায়ট পুলিশের উপস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ইউসিএলএ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা তাঁবু খাটিয়ে ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে, তা অবৈধ। অবিলম্বে বিক্ষোভ বন্ধ না করলে তাদেরকে গ্রেপ্তারের হুমকি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

ক্যাম্পাসে এ মুহূর্তে বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আল জাজিরার লস অ্যাঞ্জেলস সংবাদদাতা।

দুই ঘণ্টা আগে, ক্যাম্পাস কর্তৃপক্ষ 'গাজা সলিডারিটি ক্যাম্পের' (গাজা একাত্মতা শিবির) ভেতর বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা পাঠায়। বার্তায় বলা হয়, তারা তাঁবু খাটিয়ে যে ক্যাম্প তৈরি করেছে, তা অবৈধ কার্যক্রম এবং অবিলম্বে এ অবস্থান থেকে সরে না গেলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।

আল জাজিরার সংবাদদাতা বলেন, 'আমি ক্যাম্পের বাইরে দাঁড়িয়ে আছি। এখানে শিক্ষার্থী ও সম্প্রদায়ের অন্যান্য সদস্যদের দেখা যাচ্ছে। গাজার প্রতি সংহতি দেখাতে আরও অনেকেই এখানে অবস্থান নিয়েছেন। তবে এটা মূলত বাইরের চিত্র।'

'খানিকটা দূরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন পুলিশের সদস্যরা। লস অ্যাঞ্জেলস এর শেরিফের কার্যালয়, এলএপিডি সহ বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা এখানে এসেছেন। অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে তারা এসেছেন। পুলিশের সদস্যরা ক্যাম্পাসের এক অংশ থেকে আরেক অংশে টহল দিচ্ছেন। সবার কাছে রায়ট দমনের হাতিয়ার রয়েছে। ব্যাটন, কাঠের লাঠি এবং অন্যান্য মারণাস্ত্র নয় এমন উপকরণে সজ্জিত তারা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, তারা ক্যাম্প থেকে সবাইকে সরিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর এবং যারা এতে বাধা দিবে, তাদেরকে ওরা গ্রেপ্তার করবে', যোগ করেন আল জাজিরার সংবাদদাতা রব রেনল্ডস।

বিক্ষোভ বন্ধ করার নির্দেশ ও গ্রেপ্তারের হুমকি সত্ত্বেও বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: রয়টার্স
বিক্ষোভ বন্ধ করার নির্দেশ ও গ্রেপ্তারের হুমকি সত্ত্বেও বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: রয়টার্স

আল জাজিরার সংবাদদাতা রব রেনল্ড জানান, ২৪ ঘণ্টা আগে একদল সহিংস, জায়োনিস্ট সমর্থক ও ইসরায়েলপন্থি জনতা প্রায় তিন ঘণ্টা ক্যাম্পে এসে তাণ্ডব চালায়। এ সময় পুলিশকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

তারা এই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে হামলা চালিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করেছে, তাদের দিকে বিভিন্ন জিনিস ছুড়ে মেরেছে এবং ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এই তিন ঘণ্টায় পুলিশ কিছুই করেনি।

অবশেষে পুলিশ উপস্থিত হয়ে হামলাকারীদের নির্বিঘ্নে চলে যেতে দেয়। কাউকেই তারা গ্রেপ্তার করেনি।

'কিন্তু আজ রাতে পুলিশ সেসব শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে, যারা এখন পর্যন্ত কোন সহিংসতাই দেখায়নি', যোগ করেন রব।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago