গণতন্ত্রে বিরোধিতা থাকবে, তা যেন বিশৃঙ্খলার দিকে না যায়: বাইডেন
মার্কিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন। তাদের সঙ্গে পুলিশের বেশ কয়েক দফা সংঘর্ষও হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে এতদিন চুপ থাকলেও অবশেষে মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বাইডেন বলেন, 'গণতন্ত্রে বিরোধিতা থাকবে। কিন্তু বিরোধিতা মানে সহিংসতা নয়। বিরোধিতা যেন বিশৃঙ্খলার দিকে না যায়।'
বাইডেন আরও বলেন, 'আমরা স্বৈরাচারী দেশ নই, যেখানে আমরা যাবতীয় বিরোধকে চুপ করিয়ে দেবো। আমরা এমন দেশ নই, যেখানে আইনের শাসন চলে না। আমরা সভ্য দেশ, যেখানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।'
'আমেরিকায় ইহুদিবিদ্বেষের কোনো স্থান নেই। ইহুদি শিক্ষার্থীদের ভয় দেখানো যাবে না, তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার হুমকি দেওয়া যাবে না', যোগ করেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, 'কোনো হেট স্পিচ বরদাস্ত করা হবে না। ইহুদিবিদ্বেষ, ইসলামোফোবিয়া, আরব আমেরিকান ও ফিলিস্তিনি আমেরিকানদের মধ্যে কোনো রকম অন্যায় সহ্য করা হবে না।'
ন্যাশনাল গার্ড পাঠিয়ে বিক্ষোভ বন্ধ করার দাবি মানছেন না বলেও জানিয়েছেন বাইডেন।
ইসরায়েলের অভিযোগ
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখন ঘৃণা ও ইহুদিবিদ্বেষে কলুষিত হয়ে গেছে। আমরা আতঙ্কের সঙ্গে দেখেছি, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণকে ন্যায্য মনে করা হয়েছে এবং তা উদযাপন করা হয়েছে।'
'ইসরায়েলের মানুষ আপনাদের পাশে আছে, আপনাদের কথা শুনছে, আমরা উদ্বিগ্ন', যোগ করেন তিনি।
প্রতিনিধি পাঠাবে হামাস
হামাস জানিয়েছে, তারা মিশরে শান্তি আলোচনায় অংশ নেবে এবং সেখানে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রতিনিধি পাঠাবে।
একটি বিবৃতিতে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ে বলেছেন, তিনি মিশরের গোয়েন্দাপ্রধান আব্বাস কামালের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেখানে তিনি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখানোর ওপর জোর দিয়েছেন।
তবে কবে প্রতিনিধিদল মিশর যাবে, তা জানাননি এই হামাস নেতা। তিনি বলেছেন, আমাদের মানুষের দাবি মেনে নিলে এবং আগ্রাসন বন্ধ করলে যুদ্ধবিরতি সম্ভব।
গত শনিবার ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির শর্ত হামাসের হাতে পৌঁছায়। তারা এখন সেসব শর্ত খতিয়ে দেখছে।
হামাসকে জার্মানি, ইইউ, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বেশ কিছু দেশ 'সন্ত্রাসবাদী সংগঠন' বলে ঘোষণা করেছে।
(এপি, এএফপি, রয়টার্স)
Comments