অর্থপাচার মামলায় পাপিয়াসহ ৫ জনের বিচার শুরু

যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা শামীমা নূর পাপিয়াকে আজ (১১ মার্চ, ২০২০) আদালতে হাজির করা হয়। ছবি: এমরুল হাসান বাপ্পী

বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়া, তার স্বামী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মফিজুর রহমান সুমনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে হওয়া অর্থপাচার মামলার বিচার শুরু হয়েছে।

আজ রোববার তাদের বিরুদ্ধে হওয়া ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকার অর্থপাচার মামলার বিচার শুরু হয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এ।

মামলার অপর ৩ আসামি হচ্ছেন সাব্বির খোন্দকার, শেখ তৈয়বা নুর ও জোবায়ের আলম।

আসামিদের মধ্যে পাপিয়া, সুমন, সাব্বির ও তৈয়বা জেল হেফাজতে রয়েছেন এবং চার্জশিটে জোবায়ের আলমকে 'পলাতক' দেখানো হয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক বদরুল আলম ভূঁইয়া সিআইডির পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামানের জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।

জবানবন্দি রেকর্ডের পর কারাগারে থাকা আসামিদের পক্ষে অভিযোগকারীকে জেরা করার জন্য ১৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন বিচারক।

এর আগে গত ২১ আগস্ট একই আদালত পাপিয়া-সুমন দম্পতি ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

গত বছরের ১০ অক্টোবর অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মো. ইব্রাহিম হোসেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০২০ সালের ২১ মার্চ মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণ আইনে গুলশান থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন সিআইডির পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান।

২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া, তার স্বামী ও তাদের ২ সহযোগীকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১ এর একটি দল।

তাদের কাছ থেকে ৭টি পাসপোর্ট, ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ মার্কিন ডলার, ৪২০ শ্রীলঙ্কান রুপি, ৩০১ ভারতীয় রুপি এবং ২টি ডেবিট কার্ড উদ্ধার করে র‌্যাব।

পরে র‌্যাব সদস্যরা পাপিয়ার ফার্মগেটের বাসায় অভিযান চালিয়ে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং  কয়েকটি ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধার করে।

পরে শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২টি এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ এর অধীনে বিমান বন্দর থানায় আরেকটি মামলা করা হয়।

পরে মামলাগুলোর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে রিমান্ডে নেওয়া হয়

রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, আসামিরা অবৈধ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা, জাল মুদ্রার চোরাচালান ও ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও জমি ব্যবসার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

২০২০ সালের ১২ অক্টোবর পাপিয়া ও তার স্বামীকে অস্ত্র মামলায় ২৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

 

Comments

The Daily Star  | English

Why Dhaka has become unliveable

To survive Dhaka, you need a strategy. Start by embracing the absurd: treat every crisis as a plot twist.

12h ago