১০ লাখ রুপির বন্ডে কলকাতার কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত পি কে হালদার
অর্থপাচারের অভিযোগে আড়াই বছর বন্দি থাকার পর কলকাতার কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি কলকাতার আলিপুরের প্রেসিডেন্সি কারাগার মুক্তি পান।
কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় পি কে হালদার গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, 'আমি আপনাদের সাথে কথা বলবো। এখন না, পরে বলবো।'
গণমাধ্যমকর্মীরা প্রশ্ন করেন—আপনি কি দেশে ফিরতে চান?
জবাবে তিনি বলেন, 'এখন আমি কিছু বলবো না, আমার আইনজীবীর সাথে কথা বলে তারপর বলবো।'
জামিনের আগে সোমবার পি কে হালদারের আইনজীবী আদালতের কাছে দশ লাখ টাকার জামিন বন্ড জমা দেন।
বিচারক তার আদেশে বলেন, 'আবেদনকারী ইতোমধ্যে অর্থপাচারের অপরাধে কারাদণ্ডের সর্বোচ্চ মেয়াদের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত আটক আছেন। তাই আদালত মনে করে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আদেশের আগে তিনি জামিনের সুবিধা পেতে পারেন।'
বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার অশোকনগর থেকে পি কে হালদারকে ৫ বাংলাদেশির সঙ্গে গ্রেপ্তার করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
গ্রেপ্তারের পর ইডি জানিয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গ থেকে রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, স্থায়ী অ্যাকাউন্ট নম্বর ও আধার কার্ডের মতো বিভিন্ন সরকারি পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছেন পি কে হালদার।
তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে এসব পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে শিবশঙ্কর হালদার নামে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছিলেন।
ওই বছরের ১৯ জুলাই কলকাতার বিশেষ আদালতে ইডি চার্জশিট দাখিল করে।
Comments