ইমরান খানের বিরুদ্ধে আরেকটি এফআইআর
পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে আরও একটি এফআইআর করা হয়েছে। ইসলামাবাদের আবপারা থানায় এই এফআইআরটি নিবন্ধন করা হয়েছে।
আজ বুধবার পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম জিও টিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে ইমরান খানের পাশাপাশি একাধিক পিটিআই নেতাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। নেতাদের মধ্যে আছেন আসাদ উমর, মুরাদ সাইদ, ফাওয়াদ চৌধুরী ও ফয়সাল জাভেদ।
এফআইআরে মোট ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এফআইআরে বলা হয়েছে, ইমরান খান ও পিটিআইর নেতারা প্রায় ১ হাজার সমর্থক সহ একটি সড়ক অবরোধ করেন, যেটি এই ধারার লঙ্ঘন।
এফআইআরে আরও উল্লেখ করা হয়, ইমরান ও তার দলের সদস্যরা এ সময় লাউডস্পিকারও ব্যবহার করেন।
গতকাল মঙ্গলবার ইসলামাবাদের হাই কোর্ট আদালত অবমাননার অভিযোগের বিচারিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইমরান খানের বিরুদ্ধে একটি কারণ দর্শাও নোটিস জারি করেন। একটি জনসমাবেশে অতিরিক্ত দায়রা জজ জেবা চৌধুরীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে প্রথম এফআইআরটি করা হয়।
বিচারপতি মহসিন আখতার কায়ানি, বিচারপতি বাবর সাত্তার ও বিচারপতি মিয়াগুল হাসান আওরঙ্গজেবের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ইমরানকে ৩১ আগস্ট আদালতের সামনে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছে। বেঞ্চ একইসঙ্গে এই মামলার বৃত্তান্ত পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে বেঞ্চে আরও বিচারক যোগ করার আবেদন জানিয়েছেন।
পিটিআই দাবি করেছে, ইমরান খানের চিফ অব স্টাফ শাহবাজ গিলকে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন করা হচ্ছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে গত ২০ আগস্ট ইসলামাবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও জনসমাবেশের নেতৃত্ব দেন ইমরান।
এফ-নাইন পার্কে আয়োজিত জনসমাবেশে রাখা বক্তব্যে ইমরান খান সতর্ক করেন, তিনি ইসলামাবাদ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি), উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ও নারী ম্যাজিস্ট্রেটকে 'ছেড়ে দেবেন না'। তিনি শাহবাজ গিলের ওপর নির্যাতনের জন্য উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা আইজি ও ডিআইজিকে ছাড়বো না।'
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার বক্তব্যে অতিরিক্ত দায়রা জজ জেবা চৌধুরীর নাম উল্লেখ করেন। জেবা চৌধুরী গত সপ্তাহে ইমরান খানের চিফ অব স্টাফ শাহবাজ গিলকে ২ দিনের পুলিশি রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন। ইমরান জেবাকে প্রস্তুতি নিতে বলেন, কারণ তার বিরুদ্ধেও মামলা করা হবে।
আদালত অবমাননার দায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড পেতে পারেন সাবেক ক্রীড়াবিদ ও ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান।
গতকাল পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) শাইক উসমানি এমনই মত প্রকাশ করেছেন। সাবেক এই বিচারপতি আরও জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইমরান খান পরবর্তী ৫ বছর কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারাবেন।
Comments