ইমরানের পিটিআইর বিক্ষোভ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

ইমরান খানের দল পিটিআইর বিক্ষোভ কর্মসূচী 'জলসা' কে ঘিরে বন্ধ থাকবে ইসলামাবাদের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ছবি: ডন
ইমরান খানের দল পিটিআইর বিক্ষোভ কর্মসূচী 'জলসা' কে ঘিরে বন্ধ থাকবে ইসলামাবাদের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ছবি: ডন

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানে খানের দল পিটিআইর বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সহিংসতার আশঙ্কায় ইসলামাবাদের সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও টিভি।

ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) আজ দেশটির কেন্দ্রীয় রাজধানী ইসলামাবাদে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচী আহ্বান করেছে। 'জলসা' নামে অভিহিত এই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের জন্য দলটিকে আগে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দেওয়া হলেও পরবর্তীতে তা বাতিল করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও কর্মসূচী বহাল রেখেছে পিটিআই।

এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, বুধবার ওপর এক বিবৃতিতে পিটিআইর ইসলামাবাদ শাখার সভাপতি আমির মুঘল জানান, জেলা প্রশাসন আমাদের অনাপত্তি বাতিল করেছে, কিন্তু 'আমরা আমাদের জলসা বাতিল করিনি।'

'শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ প্রকাশ আমাদের সাংবিধানিক ও আইনি অধিকার', যোগ করেন তিনি।

এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতি মতে, 'জেলার গোয়েন্দা বিভাগের বিশেষ কমিটি' থেকে পাওয়া প্রতিবেদন ও সুপারিশের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন এই অনাপত্তি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

ইসলামাবাদের মুখ্য কমিশনার চৌধুরী মোহাম্মাদ আলি রান্ধাওয়ার সভাপতিত্বে আয়োজিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই বৈঠকে ইসলামাবাদের ডেপুটি কমিশনারের দেওয়া অনাপত্তিপত্র নিরীক্ষা করা হয়।

বৈঠকে ইসলামাবাদ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আলি নাসির রিজভি একই সময়ে একাধিক অনুষ্ঠান চলতে থাকায় সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ফাইল ছবি: ডন
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ফাইল ছবি: ডন

প্রশাসন উল্লেখ করে, বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দল এ মুহুর্তে ইসলামাবাদে অবস্থান করছে। যার ফলে জলসায় আসা জনস্রোত নিয়ন্ত্রণে রাখা পুলিশের জন্য অসুবিধাজনক হতে পারে এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।

'কিছুদিন আগে, বিক্ষোভকারীরা বিনা বাধায় সুপ্রিম কোর্ট ভবনে ঢুকে পড়ে', উল্লেখ করে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা।

তারা দাবি করেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে জনসমাবেশ আয়োজনের অনুমতি দেওয়া উচিৎ নয়।

২০২২ সালে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

২২ আগস্ট ইসলামাবাদে বিক্ষোভ আয়োজনের সিদ্ধান্তটি ইমরান খানের কাছ থেকে এসেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

Comments

The Daily Star  | English

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

25m ago