অনেক চিকিৎসক ব্যক্তিগতভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিকভাবেও অনেক চিকিৎসক অবরুদ্ধ দেশে চিকিৎসা সেবা দিয়েছিলেন।
২ মে পেয়ারা বাগানকে ১ নম্বর ফ্রন্ট এরিয়া ও ভিমরুলিকে সদর দপ্তর করে পূর্ববাংলার জাতীয় মুক্তিবাহিনীর কেন্দ্রীয় ঘাঁটি স্থাপন করা হয়। প্রশিক্ষণের জন্য ভিমরুলিতে খোলা হয় সামরিক স্কুল।
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের প্রত্যন্ত গ্রাম জাঙ্গালিয়াগাতি। মুক্তিযুদ্ধের সময় সেই গ্রামেই পাঁচ ছাত্রনেতার উদ্যোগে গড়ে উঠেছিল পলাশডাঙ্গা যুব শিবির নামের একটি আঞ্চলিক গেরিলা বাহিনী। কালক্রমে যা হয়ে...
মুক্তিযুদ্ধে তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গলের বাঙালি সুবেদার আফতাব আলীর নেতৃত্বে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তাপাড়ের জনপদে গড়ে উঠেছিল অপ্রতিরোধ্য এক আঞ্চলিক গেরিলা বাহিনী। যা আফতাব বাহিনী নামে পরিচিত।
কিংবদন্তিতুল্য এই মানুষটি দিনাজপুরে সবার কাছে পরিচিত ছিলেন ‘জর্জ ভাই’ নামে।
চাঁদপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের বিশাল এক অঞ্চল জুড়ে গড়ে উঠা আঞ্চলিক বাহিনীটি পরিচিত ছিল পাঠান বাহিনী নামে।
মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই মানিকগঞ্জসহ ঢাকার উত্তরাংশে বিস্তৃত এক অঞ্চলজুড়ে গড়ে উঠেছিল স্বতন্ত্র এক আঞ্চলিক বাহিনী। অবসরপ্রাপ্ত বাঙালি সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন আবদুল হালিম চৌধুরীর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা...
খন্দকার আবদুল বাতেনের নেতৃত্বে গঠিত সাড়ে তিন হাজার মুক্তিযোদ্ধার বাহিনীটি পরিচিতি পেয়েছিল বাতেন বাহিনী নামে।
গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে যাদের জন্ম তাদের ডাকা হয় নাইন্টিজ কিড বলে। নব্বইয়ের দশকে যাদের জন্ম গ্রামে তারা জীবনকে দেখেছে দুটি ভাগে। একদিকে শৈশব কৈশোরে মাটির ছোঁয়া, অন্যদিকে তারুণ্যে এসে প্রযুক্তির...
‘কাসিদা গাইতে গিয়া বহুত পবিত্র লাগত। ওইটা আসলে বুঝান যাইব না। এখন তো মাইক হইছে, মসজিদ থেইকা ডাইকা দেয়, ঘড়ি হইছে, মোবাইল আছে। কাসিদার দিন গেছেগা।’
১৯৭২ সালের ১৩ এপ্রিল রাত ১২টার কাঁটা অতিক্রম করা মাত্রই রাজধানী ঢাকার বেশ কয়েকটি এলাকায় বাজি ফুটিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়। মধ্যরাত থেকেই স্বাধীন দেশে নববর্ষ উদযাপন চলতে থাকে।
লোকসংস্কৃতি গবেষকরা বাংলা নববর্ষকে এক অনন্য বৈশিষ্ট্যময় উৎসব হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। এক্ষেত্রে তাদের যুক্তি হলো, পৃথিবীতে প্রচলিত বেশিরভাগ বর্ষপঞ্জির উৎপত্তি কোনো না কোনো ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত।...
রাজার মাঠে বেলুন উড়িয়ে মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ বা বর্ষবরণ উৎসবের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
২৫ মার্চ কালরাতের গণহত্যার পর ঢাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া বহু মানুষই প্রাণের ভয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন বুড়িগঙ্গার অপর পাড়ের জিঞ্জিরা, শুভাঢ্যা ও কালিন্দী ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামে জন্ম নেওয়া ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তের বাড়ি প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে চট্টগ্রাম শহরের চেরাগী পাহাড় মোড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গুলিতে তারা শাহাদাত বরণ করেন।
মন্দিরটির অবস্থান নবীনগর উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার পূর্বে বিদ্যাকুট গ্রামের দক্ষিণ প্রান্তে
গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেল ফজলুর রহমান খানের বুক। কিন্তু তাতেও তৃপ্ত হয়নি হানাদাররা। বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ফজলুর রহমানের বুকে X চিহ্ন কেটে দিল তারা।