পাকিস্তানের ২ প্রাদেশিক পরিষদে ইমরানের পিটিআইকে নিষিদ্ধের প্রস্তাব
পাকিস্তানের রাজনীতির অঙ্গন থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদে প্রস্তাব এসেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার বেলুচিস্তানেও একই ধরনের প্রস্তাব এসেছে।
আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজ।
পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য (এমপিএ) রানা মুহাম্মাদ ফায়াজ পরিষদের সচিবালয়ের কাছে এই প্রস্তাব জমা দেন।
এই প্রস্তাবে পিটিআইর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। প্রস্তাব মতে, পিটিআই রাজনৈতিক দলের ছদ্মবেশে একটি 'বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী সংগঠন"। ২৪ নভেম্বরের ঘটনার জন্য যারা দায়ী, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনারও দাবি জানানো হয়েছে।
এই প্রস্তাবে পিটিআইর বিরুদ্ধে জেনেবুঝে দেশের স্থিতিশীলতা ধ্বংসের চেষ্টা, অরাজক পরিস্থিতি কায়েম করা বা একে উসকে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ইসলামাবাদ ও দেশের অন্যান্য অংশে ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পিটিআই কর্মী ও সমর্থকদের সহিংস বিক্ষোভের কারণে বিভিন্ন মহল থেকে পিটিআইর কার্যক্রম সীমিত করার দাবি আসছে।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নেওয়াজের (পিএমএল-এন) উদ্যোগে বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদেও পিটিআইকে নিষিদ্ধের একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।
বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদেও পিটিআইর বিরুদ্ধে বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম ও অর্থনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়।
এই নথিতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে দলটির নেতৃবৃন্দকে 'অপকর্মের' জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনতে বলা হয়।
এই প্রস্তাবে বেশ কয়েকজন প্রাদেশিক মন্ত্রী সমর্থন জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনাগুলোর জন্য পিটিআইর প্রতি নিন্দা জানান।
বৃহস্পতিবার দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন শেহবাজ। সেখানেই তিনি ভবিষ্যতের যেকোনো দাঙ্গা প্রতিরোধ ও প্রতিহত করার জন্য একটি পৃথক, পেশাদার বাহিনী গঠনের নির্দেশ দেন।
শেহবাজ দাবি করেন, '(ইমরানকে মুক্ত করতে) আইনি পথে না হেঁটে দেশের বিভিন্ন অংশে অরাজকতা ছড়ানোর উদ্দেশে ইসলামাবাদের উদ্দেশে (পিটিআই) পদযাত্রার আয়োজন করে।'
তিনি জানান, পিটিআইর এসব কার্যক্রমে দেশের কোটি কোটি রুপি ক্ষতি হয়েছে।
ইসলামাবাদে পিটিআইর বিক্ষোভে ব্যাপক গোলযোগ সৃষ্টি হয়। সরকারি বাহিনীগুলোর দমন-পীড়ন অভিযানের মধ্যে এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে দলটি।
মোট এক হাজার ১৫১ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের মধ্যে ৬৪ জন আফগান নাগরিকও আছেন। কর্তৃপক্ষ বলছে, আফগানদের কাছ থেকে বল বিয়ারিং ও কাঁটাযুক্ত মুগুরের মতো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
পিটিআই নেতা সালমান আকরাম রাজা দাবি করেছেন, বিক্ষোভে ২০ জন নিহত হয়েছেন। তবে কর্তৃপক্ষ এই দাবি নাকচ করেছে।
Comments