খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৮ দিনের সংঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০৭

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সংঘাত মোকাবিলায় বাড়তি সেনা নিযুক্ত করেছে সরকার। ছবি: ডন
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সংঘাত মোকাবিলায় বাড়তি সেনা নিযুক্ত করেছে সরকার। ছবি: ডন

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলায় টানা আট দিন ধরে চলছে শিয়া ও সুন্নি গোত্রের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত। এই সংঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০৭ হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে।

এক দিন আগেই গোত্রপ্রধানরা ১০ দিনের সংঘর্ষ-বিরতিতে সম্মতি দেন।

তা সত্ত্বেও নতুন করে সংঘাত দেখা দেয়। এতে আরও পাঁচ জন নিহত ও নয়জন গুরুতর আঘাত পেয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর কুররাম কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, 'আজ থেকে কুররামে সংঘাতে লিপ্ত গোত্রদের মধ্যে ১০ দিনের সংঘর্ষ-বিরতি চালু হয়েছে।'

এই জেলায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে (মূলত শিয়া ও সুন্নি) সংঘাতে অন্তত ১০৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ২১ নভেম্বর সুন্নিদের বহনকারী গাড়িবহরে বন্দুকহামলায় ৫২ জন নিহত হন।

পুলিশ জানিয়েছে, পরবর্তী ৫-৬ দিনে দুই পক্ষের সংঘাতে আরও ৫৫ জন নিহত ও ১৪০ জন আহত হয়েছেন।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সহিংসতার জেরে পারাচিনার-পেশোয়ার সড়ক আট দিন ধরে বন্ধ আছে।

কুররামের উপ-কমিশনার জাভেদুল্লাহ মেহসুদ জানান, মূল মহাসড়কটি বন্ধ থাকায় খারলাচি সীমান্ত দিয়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সংঘাতে আহত এক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছবি: এএফপি
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সংঘাতে আহত এক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছবি: এএফপি

এ অঞ্চলে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সেবা স্থগিত রাখায় সার্বিকভাবে বাসিন্দারা নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

মেহসুদ আশ্বাস দেন, কর্তৃপক্ষ সংঘাত বন্ধ ও সংঘর্ষ-বিরতি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

তিনি বলেন, 'হানগু, ওরাজকাই ও কোহাত থেকে জ্যেষ্ঠ নেতারা পারাচিনার আসছেন। সেখানে তারা জিগরায় যোগ দেবেন। সবাই সংঘর্ষ-বিরতিতে রাজি হয়েছেন। এখন এটি পূর্ণ মাত্রায় বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে।'

গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুইটি গাড়িবহরে বন্দুক হামলার জেরে নতুন করে এ অঞ্চলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Businesses’ 2025 wish list is long, but political stability tops all

Businesses hope for the year 2025 to bring about stability as normalcy has started to be restored in businesses following turbulent times both at home and abroad.

10h ago