ইমরান খানের প্রার্থীরা জয়ী হওয়ায় ফল প্রকাশে দেরি করা হচ্ছে: পিটিআই

ভোটের ফলাফলের অপেক্ষায় বিভিন্ন প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা। ছবি: ডন

ইন্টারনেট বন্ধ, সহিংসতার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

দেশটির নির্বাচন কমিশন বলেছিল যে, ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও এতে ফল প্রকাশে সমস্যা হবে না। সঠিক সময়ে ভোটের ফল প্রকাশ করা হবে।  

বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ভোটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো বক্তব্যও দেয়নি। 

ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) অভিযোগ, দলটির নেতারা জয়ী হওয়ায় নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশে দেরি করা হচ্ছে।

পিটিআইয়ের জেনারেল সেক্রেটারি ওমর আইয়ুব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক ভিডিও বার্তায় বলেন, 'বেশ কয়েকটি সার্কেলে রিটার্নিং অফিসারদের অফিসের স্ক্রিন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।'

হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, 'জনগণের ম্যান্ডেটে "দরজা বন্ধ করে ষড়যন্ত্র" বা জালিয়াতি করা হলে ফলাফল খারাপ হবে। 

পিটিআই কর্মীদের তিনি ভোটকেন্দ্রে থাকতে অনুরোধ করেন এবং ফলাফল পেলেই স্থান ত্যাগের আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, 'নির্বাচন কমিশনের উচিত নির্বাচনের ফল জালিয়াতির মতো কলঙ্কজনক কিছু না করে অবিলম্বে ফলাফল প্রকাশ নিশ্চিত করা।'

পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে করা একটি পোস্টেও ভোটারদের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ত্যাগ না করার আহ্বান জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয়, 'আপনার ভোট পাহারা দিন। পুরো ফলাফল না নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস থেকে বের হবেন না।'

'আজ রাতে ভোটের জাগরণ পাকিস্তানের বর্তমান প্রজন্মকে দাসত্ব থেকে মুক্ত করবে,' যোগ করা হয় এতে।

পাকিস্তানে বৃহস্পতিবার সাধারণ নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

২৬৫টি আসনে প্রায় ৫ হাজার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নির্বাচনে। 

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পিটিআই প্রধান ইমরান খানের পাশাপাশি, সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন না তার দলের প্রার্থীরাও। তাদের পছন্দের প্রতীক 'ক্রিকেট ব্যাট' বরাদ্দ দেয়নি দেশটির নির্বাচন কমিশন। স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন পিটিআই প্রার্থীরা।

 

Comments

The Daily Star  | English

‘No room for politics under AL name, ideology’

Nahid Islam, adviser to the interim government, spoke with The Daily Star on the nation's key challenges and the way forward.

14h ago