দিনাজপুরে চাল কেজিতে বেড়েছিল ৮-১০ টাকা, কমেছে ২-৩ টাকা

সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর দিনাজপুরে বিভিন্ন জাতের চালের দাম কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়েছিল। তবে আজ বৃহস্পতিবার থেকে দিনাজপুরে পাইকারি বাজারে চালের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। পাইকারি বাজারে চালের দাম প্রতি ৫০ কেজির বস্তায় কমেছে ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। অর্থাৎ, পাইকারি বাজারে কেজিতে ২-৩ টাকা কমেছে চালের দাম।
ছবি: সংগৃহীত

সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর দিনাজপুরে বিভিন্ন জাতের চালের দাম কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়েছিল। তবে আজ বৃহস্পতিবার থেকে জেলা শহরের পাইকারি বাজারগুলোতে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। ৫০ কেজির বস্তায় দাম কমেছে ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। অর্থাৎ, কেজিতে কমেছে ২-৩ টাকা।

যদিও খুচরা বাজারে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, কয়েকদিনের মধ্যে খুচরা বাজারেও দাম কিছুটা কমতে শুরু করবে।

সরকার ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে খোলা বাজারে চাল বিক্রির ওএমএস কর্মসূচি ঘোষণার পর দিনাজপুরে পাইকারি বাজারে চালের দাম কমতে শুরু করে।

দিনাজপুর শহরের বাহাদুরবাজার, রেলবাজারহাট ও গুদরিবাজারসহ বিভিন্ন চালের বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, আজ বৃহস্পতিবার থেকে মোটা চাল, চিকন চালসহ সব ধরনের চালের দাম বস্তায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কমেছে।

দাম বাড়ার পর মোটা জাতের চাল গুটি স্বর্ণার প্রতি ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হতো আড়াই হাজার টাকায়। দিনাজপুরের বৃহত্তম খুচরা ও পাইকারি কেন্দ্র বাহাদুরবাজার চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আজ বৃহস্পতিবার ১০০ টাকা কমে এই চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ টাকায়।

বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া চালের মধ্যে আছে বিআর-২৮, ২৯ ও মিনিকেট চাল।

পাইকারি বাজারে বিআর-২৮ চালের দামও বস্তাপ্রতি কমেছে ১৫০ টাকা। দাম বাড়ার পর প্রতি বস্তা ৩ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও, আজ তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৯৫০ টাকায়। খুচরা বাজারে মানের ওপর নির্ভর করে ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজি দরে এই চাল বিক্রি হচ্ছে।

বিআর-২৯ দাম বাড়ার পর ২ হাজার ৯০০ টাকা বস্তা বিক্রি হলেও, এখন ২ হাজার ৭৫৯ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার খুচরা বাজারে এই চাল বিক্রি হয়েছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে।

অন্যদিকে, চাহিদার শীর্ষে থাকা মিনিকেট চালের দামও কমেছে ১৫০ টাকা প্রতি বস্তা। দাম বাড়ার পর কয়েকদিন আগে এই চাল ৩ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হতো, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে ৩ হাজার ৪৫০ টাকায়। খুচরা বাজারে মিনিকেট ৭০ থেকে ৭২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

তবে, ভালো মানের মিনিকেট এখনও বাজারে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দিনাজপুরের বাহাদুরবাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী ফিরোজ আহমেদ জানান, মিলাররা দাম কমিয়ে দেওয়ায় পাইকারি বাজারে সব ধরনের চালের দাম কমেছে।

সামনে আরও দাম কমতে পারে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, '১ সেপ্টেম্বরের পর ১৫ টাকা কেজিতে চাল বিক্রির সরকারি ঘোষণার প্রভাব এটি সম্ভবত'।

জেলা শহরের রেলবাজারহাটের খুচরা বিক্রেতা জুয়েল আহমেদ বলেন, 'মিল পর্যায়ে চালের দাম কমলে ২-১ দিনের মধ্যে খুচরা পর্যায়ে দাম কমার কথা।'

বোরো ধান কাটার মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশের চালের বাজার অস্থিতিশীল। পরবর্তীতে সরকার চালের বাজার স্থিতিশীল করতে ভারত থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়, যা চলতি বছরের জুলাইয়ের শেষদিকে শুরু হয়।

কিন্তু, এ মাসের প্রথম দিকে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর থেকে দাম বাড়তে শুরু করে। প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম বেড়ে যায় ১০ টাকা।

গত ৬ আগস্ট এক কেজি মিনিকেট চাল ৬২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে তা ৭২ টাকায় উঠে যায় বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

BNP's meet with interim govt: Roadmap for polls demanded

The party also places several demands to Yunus, including removal of 'one or two' members of interim govt, removal of 'partisan judges'

4h ago