পর্যাপ্ত মজুত-সরবরাহ সত্ত্বেও বেড়েছে চালের দাম
গত এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীর বাজারে প্রায় সব জাতের চালের দাম বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোরবানির ঈদে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং রাইস মিল বন্ধ থাকায় প্রতি ৫০ কেজির বস্তায় চালের দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে , খুচরা বিক্রেতারা প্রতিকেজি মিনিকেট চাল ৬২ থেকে ৬৮ টাকা, নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৭৮ টাকা, বিআর-২৮ ও বিআর-২৯ চাল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি করছেন। মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৫৪ টাকা এবং মোটা হাইব্রিড চাল প্রতিকেজি ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গত ১৭ জুন ঈদের আগে এসব চালের খুচরা দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা কম ছিল।
গতকাল পূর্ব শেওড়াপাড়ার একটি দোকান থেকে চাল কিনছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী নাঈম হোসেন। তিনি জানান, ঈদের আগে একই দোকান থেকে ৭২ টাকা কেজি দরে মিনিকেট চাল কিনেছিলেন তিনি। গতকাল একই চালের জন্য তাকে কেজিপ্রতি ৭৫ টাকা দিতে হয়েছে।
কাফরুলের ইব্রাহিমপুর বাজারের হাসেম জেনারেল স্টোরের মালিক আবুল হাসেম জানান, এক সপ্তাহ আগে তিনি মিনিকেট চাল ৬৮ টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও গতকাল ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। একইভাবে বিআর-২৮ চালের দাম এক সপ্তাহ আগে ৫৩ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫ টাকা কেজি হয়েছে।
পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে বলে জানান তিনি।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের সুচনা ধানের ব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন জানান, ধানের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণেই চালের দাম বেড়েছে।
তিনি বলেন, 'মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের দাম ৫০ কেজিতে ১০০ টাকা বেড়েছে, আর বিআর-২৮ চালের দাম ৫০ কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে।'
মিরপুর-১১ কাঁচাবাজারের মকবুল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী কামাল সরদার বলেন, ঈদের পর মিলগুলো আবার চালু হওয়ার পর থেকে মিল মালিকরা ধীরে ধীরে চালের দাম বাড়িয়েছে।
গত দুই-তিন দিন ধরে ধানের দাম বাড়লেও মিল মালিকরা ঈদের পর থেকে চালের দাম বাড়াতে শুরু করেছে বলে জানান তিনি।
এদিকে দেশে চাল ও ধানের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে বলে জানান দেশের শীর্ষস্থানীয় চাল আমদানিকারক মজুমদার ট্রেডার্সের মালিক চিত্ত মজুমদার।
তিনি বলেন, 'দাম আরও বাড়ার আশায় অনেক কৃষক এখন তাদের ফসল বিক্রি করছেন না। এক সপ্তাহ আগে আমরা মণপ্রতি ১৩০০ টাকায় যে ধান কিনেছিলাম এখন তার দাম ১৩৮০ টাকা।'
Comments