ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮৮ কিলোমিটার

সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূল এলাকায় প্রবাল বাতাস ও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ছবিটি কয়রার মদিনাবাগ কপোতাক্ষ নদীর পাশ থেকে তোলা। ছবি: হাবিবুর রহমান/স্টার

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় 'সিত্রাং' আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

ঘূর্ণিঝড়টি সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। 

এটি আরও ঘনীভূত ও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ মধ্যরাত বা আগামীকাল ভোররাতে ভোলার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ আছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। 

উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং তাদের নিকটবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। 

সেইসঙ্গে এ সব এলাকায় ভারি বর্ষণসহ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮৮ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।

এছাড়া, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফরিদপুর, ঢাকা, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদীবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর নৌ-বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপের পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৮ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Admin getting even heavier at the top

After the interim government took over, the number of officials in the upper echelon of the civil administration has become over three times the posts.

11h ago