চট্টগ্রামের ৪৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ

সীতাকুণ্ড বেড়িবাঁধের একাংশ। স্টার ফাইল ফটো

চট্টগ্রামের পাঁচটি উপকূলীয় উপজেলার ৪৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে এসব উপজেলার হাজার হাজার মানুষ দুর্যোগ ঝুঁকিতে আছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বাড়লে এ সব বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকায় লবণাক্ত পানি ঢুকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের ৫৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১৮ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ। সীতাকুন্ডের ২৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ৪ কিলোমিটার ঝুঁকিতে রয়েছে।

সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ বাঁশখালীতে। উপজেলায় ৩৬ কিলোমিটার সমুদ্র উপকূলীয় বেড়িবাঁধের মধ্যে ২২ কিলোমিটার বাঁধই ঝুঁকিপূর্ণ।

এ ছাড়া আনোয়ারার ৮ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে ১ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। তবে নতুন করে নির্মিত হওয়ায় মিরসরাই উপজেলার ২৪ কিলোমিটার বাঁধের কোনো অংশ ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে পাউবো থেকে জানা গেছে।

এরমধ্যে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের পরুয়াপাড়া বাতিঘর, ফকির হাটসহ বিভিন্ন এলাকার বেড়িবাঁধ ধসে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ইমরান বিন ছবুর বলেন, ইউনিয়নের বার আউলিয়া, পরুয়া পাড়াসহ বেশকিছু এলাকায় বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে। এসব এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

পাউবো থেকে জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ এসব বাঁধ ১৯৬০ এর দশকে নির্মিত। বেড়িবাঁধগুলো গত ৫০ বছরেও সংস্কার হয়নি।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদুজ্জামান খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উচ্চ জলোচ্ছ্বাস হলে এসব বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন সতর্ক রয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক মোকাবিলার জন্য জিও ব্যাগ ও সিনথেটিক ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh sees window of opportunity in Trump’s trade war

US President-elect Donald Trump’s trade policies towards China and Mexico could ultimately benefit Bangladesh, according to local apparel exporters.

9h ago