রেমিট্যান্স সংগ্রহ ব্যাহত

রেমিট্যান্স, প্রবাসী আয়, কোটা সংস্কার আন্দোলন, কারফিউ, মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ,
ছবি: সংগৃহীত

দেশে পাঁচ দিনের জন্য ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় ব্যাংক ও মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) মাধ্যমে রেমিট্যান্স সংগ্রহে প্রভাব পড়েছে। এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

ব্যাংকার ও এমএফএস প্রোভাইডারদের কর্মকর্তারা জানান, ১৮ জুলাই মধ্যরাত ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় রেমিট্যান্স সংগ্রহ বন্ধ ছিল। এরপর সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হলে রেমিট্যান্স সংগ্রহ শুরু হয়।

কিন্তু ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা আংশিক চালুর পর ব্যাংক ও এমএফএসের রেমিট্যান্স সংগ্রহ স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কমেছে।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন প্রায় ৮০ মিলিয়ন থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স বাংলাদেশে পাঠানো হয়।

এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ম্যানুয়াল ৬ অনুযায়ী, ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, 'ইন্টারনেট বন্ধের মধ্যে আমরা পাঁচ দিন রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে পারিনি। কিন্তু ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হলে রেমিট্যান্স প্রবাহ স্বাভাবিক হয়।'

তিনি জানান, সার্বিক পরিস্থিতির কারণে জুলাই মাসের মোট রেমিট্যান্স সংগ্রহ কম হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আগামী সপ্তাহে বিষয়টি আরও ভালোভাবে জানা যাবে।

একটি বেসরকারি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংক ও এমএফএস প্রোভাইডারদের লিয়াজোঁ অফিসগুলো রেমিট্যান্স পেলেও ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় ব্যাংকগুলোর স্থানীয় শাখায় পাঠাতে পারেনি।

তবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট আংশিক চালু হওয়ার পর সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং সেবা চালু করায় কয়েকটি ব্যাংক রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে পারেনি।

যেমন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হলেও রেমিট্যান্স সংগ্রহে জটিলতায় পড়ে মার্কেন্টাইল ব্যাংক।

ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউল হাসান বলেন, ধীরগতির ইন্টারনেট সংযোগের কারণে সুইফটে ঢুকতে না পারায় রেমিট্যান্স সংগ্রহে সমস্যায় পড়ে মার্কেন্টাইল ব্যাংক।

এমএফএস সরবরাহকারীরাও একই পরিস্থিতির মুখে পড়েছিল।

শীর্ষস্থানীয় এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা জানান, তারা স্বাভাবিক দিনে ৫ থেকে ৭ কোটি টাকা রেমিট্যান্স পেলেও, ইন্টারনেট সংযোগের ধীরগতির কারণে তা ৮০ লাখ টাকায় নেমে এসেছে।

গত ১ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৯৭৮ মিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশে রেমিট্যান্সের বড় অংশ আসে ইসলামী ব্যাংক পিএলসির মাধ্যমে। এ বিষয়ে জানতে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Depositors leave troubled banks for stronger rivals

Depositors, in times of financial uncertainty, usually move their money away from troubled banks to institutions with stronger balance sheets. That is exactly what unfolded in 2024, when 11 banks collectively lost Tk 23,700 crore in deposits.

10h ago