ব্যাংকিং বিশেষজ্ঞরা বলছেন—সুশাসন, ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ, আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা ও ঋণ পুনরুদ্ধারে জোর দেওয়ায় খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমেছে। বহুজাতিক ব্যাংকের পাশাপাশি কয়েকটি দেশি ব্যাংক এসব নীতি মেনে চলেছে।
মূলধন ও প্রভিশনিংয়ের ঘাটতি দূর করতে বাংলাদেশ ব্যাংক মুনাফা অর্জনকারী ১২ ব্যাংককে তাদের নিজ নিজ বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত বাস্তবসম্মত ও সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
বিশেষ তহবিল গঠন করা হবে ২৫ কোটি টাকার।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা কমার কারণ—বিতর্কিত কর্মকাণ্ড, আর্থিক কেলেঙ্কারি, স্বচ্ছতা ও সুশাসনের অভাব।
টাকা রাখার আগে ভালো ব্যাংক চেনা জরুরি; যেন প্রয়োজনের সময় সেই টাকা মুনাফাসমেত ফেরত পাওয়া যায়। অন্যথায়, ব্যাংক ডুবে গেলে খোয়া যেতে পারে আপনার সম্পদ।
‘দেশের টাকা-পয়সা নিয়ে অনেকেই বিদেশে চলে গেছে। এরকম ঘটনা পৃথিবীর আর কোথাও ঘটেনি।'
ফলে কিছু ব্যাংকে আমানতের প্রবৃদ্ধি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমানত বেড়েছে ৩২ শতাংশ পর্যন্ত। এক্ষেত্রে ভালো ব্যাংকগুলোর আমানত বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।
দ্য ডেইলি স্টারের বিশ্লেষণে দেখা গেছে—সুশাসন ও গ্রাহক আস্থার ওপর ভিত্তি করে গত বছর তিন ব্যাংক এক হাজার কোটি টাকার মুনাফার মাইলফলক পার করেছে।
‘প্রায় ১০টি বুথ ঘুরেছি কোথাও টাকা তুলতে পারেননি। কোনো বুথ দেখাচ্ছিল টাকা নেই। কোনো বুথ অন্য ব্যাংকের এটিএম কার্ড নিচ্ছে না।’
ব্যাংকাররা বলেন, যেসব এলাকায় ঝুঁকি বেশি সেসব এলাকার আউটলেট ও এটিএম বুথ বন্ধ রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার দ্বিতীয় দিনের মতো অফিসে আসেননি।
পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।
আজকের বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুল রউফ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন না।
তাদের দাবি, গত ১৫ বছর ধরে তারা ব্যাংকের সুযোগ-সুবিধা ও পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
সম্প্রতি তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে ৩১টি আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করেছে।
যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে আর্থিক খাত সুরক্ষিত রাখতে ও নির্বিঘ্নে লেনদেন নিশ্চিত করতে ইন্টারনেটের বিকল্প নিয়ে পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
এপ্রিল-জুন এই তিন মাসে ব্যাংকটির মুনাফা হয়েছে ৩০৭ কোটি টাকা, আগের বছরের একই সময়ে চেয়ে যা ছিল ২৮৬ কোটি ২২ লাখ টাকা।