তিন মাসে ইসলামী ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে ৭ শতাংশ
চলতি বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের মুনাফা বেড়েছে সাত দশমিক দুই শতাংশ।
এই তিন মাসে ব্যাংকটির মুনাফা হয়েছে ৩০৭ কোটি টাকা, আগের বছরের একই সময়ে চেয়ে যা ছিল ২৮৬ কোটি ২২ লাখ টাকা।
ইসলামী ব্যাংকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, বছরের প্রথমার্ধে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়ে ৩৫৬ কোটি ৯২ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। গত বছরের একই সময় যা ছিল ৩৪৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
অর্থাৎ ২০২৪ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় দাঁড়িয়েছে দুই টাকা ২২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল দুই টাকা ১৩ পয়সা।
এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোর উন্নতি হয়েছে, যা এক বছর আগের ঋণাত্মক ৩৯ টাকা ২১ পয়সা থেকে ৫৪ন টাকা ৭৯ পয়সা হয়েছে।
এদিকে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য হয়েছে ৪৬ টাকা ৬ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
সাম্প্রতিক ঋণ কেলেঙ্কারির পরও ইসলামী ব্যাংক গত বছর একটি মাইলফলক অর্জন করেছে। ব্যাংকটি আমানতের দিক দিয়ে সোনালী ব্যাংককে ছাড়িয়ে গেছে।
২০২৩ সালে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটি মোট এক লাখ ৫৩ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করতে পেরেছে এবং ব্যাংকটির আমানতে বার্ষিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
সে তুলনায় দেশের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সোনালী ব্যাংক এক লাখ ৫০ হাজার ৬০৬ কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করেছে এবং ব্যাংকটির আমানতের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ছয় শতাংশ।
এর মাধ্যমে আমানত ও ঋণের (বিনিয়োগ) দিক থেকে বাংলাদেশের বৃহত্তম ব্যাংক হয়ে উঠেছে ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটি ঋণ কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংককে পেছনে ফেলেছে।
তবে ২০২২ সালে ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের অনুপাত দাঁড়িয়েছে তিন দশমিক তিন শতাংশে।
ব্যাপক আর্থিক কেলেঙ্কারির কারণে সম্প্রতি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটি আলোচনায় আসে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ব্যাংকিং আইন লঙ্ঘন করে ২০২২ সালে ব্যাংকটি নয়টি প্রতিষ্ঠানকে সাত হাজার ২৪৬ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে।
১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ১ হাজার ৬০৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করে। সারাদেশে ব্যাংকটির ৩৯৪টি শাখা, ২৪৯টি উপশাখা ও ২ হাজার ৭৭১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট আছে।
Comments