ব্যাংক সচল রাখতে ইন্টারনেটের বিকল্প ভাবছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ব্যাংক থেকে একদিনে তোলা যাবে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

সম্প্রতি দেশব্যাপী ইন্টারনেট বন্ধ রাখার মতো যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে আর্থিক খাত সুরক্ষিত রাখতে এবং নির্বিঘ্নে লেনদেন নিশ্চিত করতে ইন্টারনেটের বিকল্প নিয়ে পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সঙ্গে বৈঠকে এ পরিকল্পনার কথা জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পূবালী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে এবিবি চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, 'সাম্প্রতিক পরিস্থিতি থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি।'

'…সম্প্রতি আমাদের কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, এমন কঠিন পরিস্থিতিতে কীভাবে ব্যাংকিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখা যায়, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।'

সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা বুঝতে পেরেছি ব্যাংকের জন্য দুই ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রথমত বিভিন্ন ব্রাঞ্চের নিরাপত্তা, দ্বিতীয়ত অনলাইন ব্যাংকিংয়ের নিরাপত্তা।

তিনি বলেন, 'আমাদের ইন্টারনেটের বিকল্প মাধ্যম তৈরি করতে হবে। ব্রডব্যান্ডের সক্ষমতা বাড়াতে হবে, যেন আমরা ব্যাংকিং সেবা অব্যাহত রাখতে পারি। সুখবর হলো, ব্যাংকগুলোর জন্য ইন্টারনেটের বিকল্প অবকাঠামোর কথা ভাবছে বাংলাদেশ ব্যাংক।'

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইটি বিভাগ একটি খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করবে এবং ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠাবে।

এর আগে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার মধ্যে গত ১৮ জুলাই থেকে পাঁচ দিন ইন্টারনেট বন্ধ রাখে সরকার। পরে দেশব্যাপী কারফিউ জারি করে এবং সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এর প্রভাব পড়ে অনলাইন ও সরাসরি ব্যাংকিং কার্যক্রমের ওপর।

কারফিউ চলাকালে অনেক এটিএম বুথ বন্ধ রাখা হয়, অনেক বুথের টাকা ফুরিয়ে গেছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। এমনকি মানুষ ইউটিলিটি বিলও দিতে পারছিল না।

ব্যাংকাররা জানান, তারা প্রবাসী আয় ও বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছেন।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমাগত কমে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোকে প্রবাসী আয় সংগ্রহে মনোযোগী হতে বলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।

Comments

The Daily Star  | English

Economist Barkat held in graft case

Economist Prof Abul Barkat was arrested in the capital last night in a case filed with the Anti-Corruption Commission.

5h ago