রাবিতে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদকর্মীকে মারধরের অভিযোগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গিয়াসউদ্দিন কাজল। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক সংবাদকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। রোববার দিবাগত রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের টিভি রুমে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী সাহাবুদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডি মর্নিংয়ের রাবি প্রতিনিধি।

আহতাবস্থায় তিনি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন আছেন।

অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিন কাজল মাদার বখশ হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও ইতিহাস বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

বিচার দাবিতে উপাচার্য ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের অবস্থান। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী বলে জানা যায়।

রাবি প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে মারধরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ঘটনা সম্পর্কে জেনেছি। মেডিকেলে গিয়ে আহত শিক্ষার্থীর সঙ্গে দেখা করেছি।'

'বিষয়টি মীমাংসার জন্য হল প্রাধ্যক্ষকে জানানো হয়েছে,' যোগ করেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার টিভি রুমে বসে খেলা দেখার সময় কাজল ধূমপান করছিলেন। সে সময় শাহাবুদ্দিন তাকে বাইরে গিয়ে ধূমপান করতে বললে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।

এক পর্যায়ে কাজলসহ আরও ২-৩ জন শাহাবুদ্দিনকে মারধর শুরু করেন।

তবে ঘটনা জানানো সত্ত্বেও হল প্রাধ্যক্ষ শামীম হোসেন ঘটনাস্থলে যাননি।

মন্তব্যের জন্য তাকে ফোন করা হলে, তিনি ফোন ধরেননি।

এদিকে এ ঘটনার বিচার দাবিতে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান নেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী জাকারিয়া ও অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলাম টিপু এবং ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নুর, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক আন্দোলনরত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

Comments

The Daily Star  | English
Banks deposit growth in 2024

Depositors leave troubled banks for stronger rivals

Depositors, in times of financial uncertainty, usually move their money away from troubled banks to institutions with stronger balance sheets. That is exactly what unfolded in 2024, when 11 banks collectively lost Tk 23,700 crore in deposits.

13h ago