জাবির আবাসিক হলে ঢুকে ছাত্রীদের হেনস্তা, নিরাপত্তাহীনতায় শিক্ষার্থীরা

ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্রীদের একটি আবাসিক হলে ঢুকে চুরির চেষ্টা ও পরবর্তীতে ছাত্রীদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছেন অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবক। এ ঘটনার পর ছাত্রীরা জানিয়েছেন, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলে এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনার বিষয়ে এক ছাত্রী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ আমার রুম ১২৬ নম্বরের জানালায় দাঁড়িয়ে একজন লোক অনেকক্ষণ যাবৎ গালিগালাজ করেছে, আমাদের হেনস্তা করেছে। চিৎকার করা শর্তেও সেখানেই দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন তিনি। যখন মানুষ জড় হচ্ছিল, তখনো সে একইভাবে দাঁড়িয়ে ছিল। তাকে একটুও বিচলিত মনে হয়নি।'

'এই ভোর বেলা আমাদের গালিগালাজ করে গেল, হেনস্তা করল, গার্ডরা কি তখন ঘুমিয়ে ছিল? নাকি তারাই এর সঙ্গে জড়িত? এই হলে নিরাপত্তা কোথায়? কেন গার্ডরা তাকে ধরতে পারল না?', বলেন তিনি।

এ বিষয়ে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের আরেক ছাত্রী বলেন, 'ভোর সাড়ে ৫টায় "চোর চোর" চিৎকার শুনে জেগে উঠি। তখন আমার পাশের আপুকে ডাকি। ভয় পেয়ে অনেকক্ষণ বসে ছিলাম।'

'পাশের আপুদের রুমের জানালার কাছে দাঁড়িয়ে চোর অকথ্য ভাষায় কথা বলতে থাকে অনেকক্ষণ। তবে কিছু নিতে পারেনি', বলেন তিনি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ হোসনে আরা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি এখন হলেই আছি। বিষয়টা খুবই খারাপ হয়েছে। ছাত্রীদের নিরাপত্তার ব্যাপার।'

নিরাপত্তা রক্ষী থাকা সত্ত্বেও কীভাবে হলের ভেতরে প্রবেশ করতে পারল, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ওটাই আসলে খতিয়ে দেখতে এসেছি। কীভাবে সম্ভব হলো এটা।'

শিক্ষার্থীরা জানায়, আজ ভোররাত ৩টা পর্যন্ত জাবি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের উপচে পড়া ভিড় ছিল।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল রাতে ছিনতাই হয়েছে ক্যাম্পাসের ভেতর। কনসার্ট চলাকালীন মেয়েদের গায়ে হাত দিয়েছে। এসব ঘিরে মারামারি হয়েছে। আহতদের মেডিকেলে পাঠাতে হয়েছে। ক্যাম্পাসে বহিরাগত নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন থেকে বার্তা আসলে আমরা যেকোনো ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

5h ago