বিএম কলেজের ছাত্রাবাস যেন মরণ ফাঁদ

ছাত্রাবাসে রুমের ভেতরে নিয়মিতই খসে পড়ে পলেস্তারা। ছবি: টিটু দাস/স্টার

সরকারি বিএম কলেজ বরিশালে শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস যেন পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে।

কলেজের ভেতরে দক্ষিন পাশে রয়েছে বহু বছর আগে নির্মিত দুটি ভবন। এই ভবন দুটি নিয়েই মহাত্মা অশ্বিনী কুমার হল (ডিগ্রী হোস্টেল)। যুগের পর যুগ বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করে আসছেন ছাত্রাবাসটি।

জনপ্রতি বাৎসরিক সাড়ে ৪ হাজার টাকা ভাড়ায় প্রতি রুমে ৪ জন শিক্ষার্থী থাকেন এই ছাত্রাবাসে। বর্তমানে এখানে রয়েছেন প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী।

বিএম কলেজের জরাজীর্ণ মহাত্মা অশ্বিনী কুমার হল। ছবি: টিটু দাস/স্টার

গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, সেখানকার শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের অন্যতম কারণ ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, রুমের স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ। ছাত্রাবাস ভবনের অনেক জায়গায় ছাদের পলেস্তারা খসে গেছে, রুমের ভেতরে নিয়মিতই খসে পড়ে পলেস্তারা। এ নিয়ে প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকেন রুমের শিক্ষার্থীরা। ভবনের গোসলখানা, টয়লেটের অবস্থাও শোচনীয়।

ছাত্রাবাসে বসবাসরত কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, দূরদূরান্ত থেকে বিএম কলেজে পড়তে এসেছেন তারা। বাইরে থাকতে গেলে অনেক খরচ, তাই খরচ কমাতে কষ্ট করে বিএম কলেজের এই হোস্টেলেই থাকছেন। কিন্তু বর্তমানে ছাত্রাবাসের অবস্থা এতটাই খারাপ যে সসব সময়ই তাদের আতঙ্কে থাকতে হয়।

তাদের ভাষ্য, কলেজের ভেতরে অনেক দৃষ্টিনন্দন ভবন থাকলেও শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস ভবনের সংস্কার এবং নতুন ভবন নির্মাণে কেন কর্তৃপক্ষের অনীহা, সেটা আমরা জানি না। আমরা চাই দ্রুত শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন ভবন নির্মাণ করা হোক।

এ বিষয়ে কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরোয়ার বলেন, 'ছাত্রাবাস ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এগুলো মেরামত করলেও কোনো কাজে আসবে না। তবে শিক্ষা প্রকৌশলী বরাবর নতুন ভবনের জন্য আবেদন করা হয়েছে, নতুন ভবন তৈরি হলে সংকট কেটে যাবে।'

বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. গোলাম কিবরিয়া বলেন, 'আমরা শিক্ষা প্রকৌশলের কাছে হোস্টেলের পুরাতন ভবন সংস্কার এবং নতুন ভবন নির্মাণের জন্য আবেদন করেছি। খুব শিগগির বিষয়টির সমাধান হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Admin officers protest plan for more non-admin deputy secretaries

Non-admin officers announce strike tomorrow, demanding exam-based promotions

1h ago