ধীরগতির ফোনে যেভাবে গতি ফিরিয়ে আনবেন

ধীরগতির ফোনে যেভাবে গতি ফিরিয়ে আনবেন
ছবি: সংগৃহীত

ফোন ধীরগতির হয়ে যাওয়াটা সব সময়ই বিরক্তিকর। অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না কেন ফোন ধীরগতির হয়ে যায়। এর অন্যতম দুটি কারণ হচ্ছে- ফোনের স্টোরেজ শেষ হয়ে যাওয়া এবং ধীরগতির ইন্টারনেট। 

তবে সুখবর হচ্ছে ধীরগতির ফোনের গতি ফিরিয়ে আনার অনেকগুলো উপায় আছে। কিন্তু প্রথমে বুঝতে হবে ধীরগতির কারণটা কী। যেসব কারণে আপনার ফোনটি ধীরগতির হতে পারে এবং সমস্যাগুলো থেকে যেভাবে মুক্তি পেতে পারেন-

স্টোরেজ স্পেস শেষের দিকে

ফোনে অতিরিক্ত ছবি, ভিডিও, পডকাস্ট, গেমস রাখলে সেগুলো ফোনের মেমরি দখল করে নিতে পারে এবং এর কম্পিউটার প্রসেসিং ইউনিট বা সিপিইউ-এর ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করে। ফলে ফোন ধীরগতির হয়ে যায়। ফোনের স্টোরেজ যদি কম থাকে, তাহলে অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলে মুছে ফেলতে পারেন। 

দুর্বল ওয়াইফাই সংযোগ

আপনার ফোন যদি সাধারণ সময়ের তুলনায় বেশি ধীরে চলে এবং ফোনটি যদি ওয়াইফাই সংযোগের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলে ওয়াইফাইয়ের দুর্বল সিগন্যাল কারণ হতে পারে। দুর্বল ওয়াইফাই সংযোগ ফোনকে ধীরগতির করে দেয় কারণ ওয়েবসাইট ও অ্যাপ রিফ্রেশে এবং অ্যাপ আপডেট তখন অনেক সময় লাগে। এমন পরিস্থিতিতে ফোন ধীরগতির বলার চেয়ে ইন্টারনেট সংযোগকে ধীরগতির বলাই শ্রেয়। উচ্চ গতির ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। 

পুরোনো অপারেটিং সিস্টেম

সবশেষ কবে আপনার ফোনের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করেছেন? উত্তর যদি হয় 'অনেক আগে' তাহলে অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করুন। অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করলে যে শুধু ফোনের গতি বাড়ে তা-ই নয়, বরং ফোনের সফটওয়্যারে যদি কোনো ত্রুটি বা বাগ থাকে, তাও ঠিক করে ফলে ফোনের প্রসেসিং ক্ষমতা বাড়ে এবং দ্রুত কাজ করতে পারে। অপারেটিং সিস্টেম আপডেট বন্ধ করে রাখা বা না করাটা ফোনের নিরাপত্তার জন্যও অত্যন্ত ঝুঁকির।  

ফোনের ক্যাশ ও র‌্যামে জায়গা না থাকা

ফোন যত ব্যবহার করবেন, ততই বিভিন্ন ডেটা ও অ্যাপ ফোনের ক্যাশ ও র‌্যামে জমা হতে থাকে। ফলে এসব স্টোরেজ শেষ হতে থাকে। ছোট ছোট এসব ভার্চুয়াল ডেটা এক পর্যায়ে বড় আকার ধারণ করে, ফোনের মেমরি ও প্রসেসরের ওপর চাপ বাড়ায়। তাই র‌্যাম ও ক্যাশ যতটা ফাঁকা রাখা যায়, ফোনের গতির জন্য ততটাই মঙ্গল। 

অতিরিক্ত অ্যাপ ইনস্টল করা

আমরা অনেক সময় কোনো দরকারে বা দুএকবার ব্যবহার করার জন্য অনেক অ্যাপ ইনস্টল করি, কিন্তু ব্যবহারের পরে আর সেগুলো ডিলিট করি না। অ্যাপগুলো ফোনের মূল্যবান স্টোরেজ দখল করে রাখে। এমনকি অ্যাপগুলো ডিলিট করার পরও তাদের সংগৃহীত ডেটা ফোনকে ধীরগতির করতে পারে। তাই অ্যাপ ডিলিট করার পাশাপাশি সেই ক্যাশও ডিলিট করতে হবে। 

অনেক অ্যাপ ব্যাকগ্রান্ডে চলতে থাকে। এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করা শেষে বন্ধ করে রাখুন, যাতে ব্যাকগ্রাউন্ডে না চলে। এসব অ্যাপ ফোনের ব্যাটারির ক্ষতি করার পাশাপাশি অনেক ইন্টারনেটও খরচ করে।   

ফোনের পুরোনো ব্যাটারি

আইফোনসহ আরও কিছু ফোনের ব্যাটারি পুরোনো হয়ে গেলে ধীরে ধীরে ফোনের কার্যক্ষমতা কমে যায়। অ্যাপল স্বীকার করেছে যে পুরোনো আইফোনের ব্যাটারির কার্যকারিতা অক্ষুণ্ন রাখতে তারা ফোনগুলোর ক্ষমতা কমিয়ে আনে। পুরোনো ব্যাটারির কারণে ফোনের প্রসেসরের ওপরে বাড়তি চাপ পড়ে, যা ফোনের ধীরগতির জন্য দায়ী। অনেক পুরোনো আইফোনের ক্ষেত্রে ব্যাটারির কার্যক্ষমতাজনিত কারণে গতি কমে যাওয়ার অবশ্য তেমন কোনো সমাধান নেই। সেক্ষেত্রে নতুন আইফোন কেনার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। 

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

গ্রন্থনা: আহমেদ হিমেল

 

Comments

The Daily Star  | English

Power, Energy Sector: Arrears, subsidies weighing down govt

The interim government is struggling to pay the power bill arrears that were caused largely by “unfair” contracts signed between the previous administration and power producers, and rising international fuel prices.

9h ago