২ বছরের বেশি সময় ধরে নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট মুছে দেবে গুগল

গুগলের সদর দপ্তর। ফাইল ছবি: রয়টার্স
গুগলের সদর দপ্তর। ফাইল ছবি: রয়টার্স

কমপক্ষে ২ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় আছে এমন অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা বা ডিলিটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুগল। এর আগে এসব নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত হলেও সে ব্যাপারে চূড়ান্ড ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

তবে এ বছরের ডিসেম্বরের ১ তারিখের আগে কোনো অ্যাকাউন্ড ডিলিট হচ্ছে না। এর আগে নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট ও সেগুলোর ব্যাকআপ অ্যাকাউন্টগুলোতে একাধিক সতর্কবার্তা পাঠাবে গুগল। চূড়ান্ত ডিলিটের আগে অ্যাকাউন্টটি সক্রিয় করতে গ্রাহক অন্তত ৮ মাস সময় পাবেন বলে জানা গেছে।

নিরাপত্তা ঝুঁকি প্রতিরোধের লক্ষ্যে গত মে মাসে গুগল তাদের এই পরিকল্পনার কথা জানায়। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের আভ্যন্তরীণ অনুসন্ধানে দেখা গেছে পুরোনো ও নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টগুলোতে এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়, যা অন্য কোনো অ্যাকাউন্টেও ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু পুরনো অ্যাকাউন্টে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশনের মতো নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতির কারণে এগুলো ফিশিং, স্প্যাম ও হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে বাড়তি ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

মে মাসে এক বিজ্ঞপ্তিতে গুগল জানিয়েছিল, যেসব গুগল অ্যাকাউন্ট তৈরির করার পর আর কখনো ব্যবহার করা হয়নি, সেগুলোকে সবার আগে মুছে ফেলা হবে।

গুগলের নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, 'আপনি আমাদের সেবা আর ব্যবহার না করলেও আমরা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে এবং অ্যাকাউন্টে অনধিকার প্রবেশ ঠেকাতে চাই।'

তবে যেসব নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ইউটিউব চ্যানেল যুক্ত আছে, গিফট কার্ডের অব্যবহৃত ব্যালান্স আছে, বই বা সিনেমার মতো ডিজিটাল আইটেম কেনা হয়েছে এবং গুগল প্লে'র মতো প্ল্যাটফর্মে কোনো অ্যাপ পাবলিশের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে, সেগুলোকে আপাতত নিষ্ক্রিয় করা হবে না বলে জানিয়েছে গুগল।

২০২০ সালে গুগল ঘোষণা করেছিল গ্রাহকরা যেসব সেবা ব্যবহার করেন না, সেখান থেকে তাদের সব তথ্য চাইলে মুছে ফেলতে পারবেন, কিন্তু তাতে মূল অ্যাকাউন্টটি ডিলিট হবে না। তবে এই নীতিতে পরিবর্তন এনে এখন পুরো অ্যাকাউন্টটিই ডিলিট করে দেবে গুগল।

নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্টটি যদি ধরে রাখতে চান, তাহলে প্রতি দুই বছরে অন্তত একবার অ্যাকাউন্ট বা সেটির সঙ্গে যুক্ত যেকোনো পরিষেবাতে লগ ইন করতে হবে এবং হয়তো একটা ইমেইল পড়তে হবে, ভিডিও দেখতে হবে কিংবা অন্তত একবার সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করতে হবে।

সূত্র: সিএনএন

গ্রন্থনা: আহমেদ হিমেল

Comments

The Daily Star  | English

Beximco workers' protest turns violent in Gazipur

Demonstrators set fire to Grameen Fabrics factory, vehicles, vandalise property

19m ago