তিস্তা সেচ প্রকল্প এলাকায় এক লাখের অনুমতি নিয়ে চার লাখ গাছ কাটার অভিযোগ। অস্বীকার করে কর্তৃপক্ষ বলেছে, যা হচ্ছে, সবই উন্নয়নের স্বার্থে।
গতকাল সোমবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানান চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক রেজাউল করিম
গাছ না কেটে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে সংস্কৃতিকর্মী ও পরিবেশবাদীরা বলেন, গাছ কাটার বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে।
পুনর্খনন ও সংস্কার প্রকল্পের তিন বছরে আলতাদীঘির মাঝের পুকুরসহ একটি ছায়াঘেরা সবুজ এলাকা মরুভূমির চেহারা পেয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়, ঢাকা শহরে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় গাছের পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে এবং সাম্প্রতিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও দুর্বিষহ করে তুলছে। সারাদেশে সামাজিক...
‘সড়কের দুপাশে প্রচুর গাছ থাকায় এখানকার পরিবেশ তুলনামূলকভাবে শীতল। গাছগুলোতে অনেক পাখির বাসা রয়েছে। এসব গাছ কাটা হলে পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হবে।’
খালের পাড় ধরে চলে যাওয়া সড়কে এসব গাছ ছায়া দিয়ে যাচ্ছে।
কেটে ফেলা গাছগুলো জব্দ করে এক ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
মনে রাখা দরকার, একটি প্রাচীন গাছ কাটার বিনিময়ে একশটি গাছ লাগালেও ওই ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। কেননা, আজ যে গাছটি লাগানো হবে, মানুষকে ছায়া ও পর্যাপ্ত অক্সিজেন দেওয়ার উপযোগী হতে তার অন্তত ২০ বছর সময় লাগবে।
খালের পাড় ধরে চলে যাওয়া সড়কে এসব গাছ ছায়া দিয়ে যাচ্ছে।
কেটে ফেলা গাছগুলো জব্দ করে এক ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
মনে রাখা দরকার, একটি প্রাচীন গাছ কাটার বিনিময়ে একশটি গাছ লাগালেও ওই ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। কেননা, আজ যে গাছটি লাগানো হবে, মানুষকে ছায়া ও পর্যাপ্ত অক্সিজেন দেওয়ার উপযোগী হতে তার অন্তত ২০ বছর সময় লাগবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, যুবলীগ নেতা মোরশেদ আলম চৌধুরী ও তার ভাই এই কাজের সাথে জড়িত।
পুরোনো বড় গাছগুলো কেটে নেওয়ার প্রভাব পড়ছে জীব বৈচিত্র্যের ওপর। এসব গাছ নিয়ে যাওয়ার জন্য পাহাড় কেটে ও ঝিরির পানির প্রবাহ বন্ধ করায় প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। পানীয় জলের সংকটে পড়ছেন স্থানীয় লোকজন।
পরিবেশ রক্ষা করে উন্নয়নের আহ্বান জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘আধুনিক বিশ্বে গাছ রক্ষা করে উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পরিবেশকে আঘাত করে উন্নয়ন চাই না।’
ওই এলাকায় একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
কেটে ফেলা গাছগুলোর মধ্যে ৫৬টি কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করলেও, জড়িতদের চিহ্নিত করতে পারেনি।
অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা বলেন, যেখানে বিশ্বব্যাপী গাছ রক্ষার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে, সেখানে খুলনা সিটি করপোরেশন কীভাবে এসব গাছ কাটতে পারে?
এই সড়ক বিভাজকে নতুন করে সৌন্দর্যবর্ধক গাছ লাগানো হবে বলে জানিয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।