আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, এই ঘটনার পেছনে সুদানের সেনাবাহিনীর হাত আছে। দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগের তীর ছুঁড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশটি।
সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্টের (আরএসএফ) সংঘাতে রাজধানী খার্তুম ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। এছাড়াও, দারফুরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের বিরুদ্ধে হামলার ফলে সার্বিকভাবে...
‘আশা করি এই পরিবারগুলোর জন্য ঈদের আগে এই সংবাদ কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।’
আরও ১৬০ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তাদেরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধান প্রতিপালন সাপেক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে ৩ লাখ টাকা, সহ-জামানতে ৫ লাখ টাকা এবং জামানতসহ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ ঋণ দেওয়া হবে।
গত ৮ মে থেকে এখন পর্যন্ত ৪৪৯ জন বিমানের মাধ্যমে দেশে ফিরেছেন।
জেদ্দা থেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন ৫১ সুদান প্রবাসী।
রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
অবশিষ্ট বাংলাদেশি নাগরিকদের সৌদি আরবের জেদ্দায় ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ নিজস্ব খরচে সুদান থেকে ৪টি চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
খার্তুম থেকে টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথোপকথনে কয়েকজন বাংলাদেশি জানিয়েছেন, মজুত খাদ্য বাঁচিয়ে রাখতে কিছুদিন ধরেই তারা কম কম খাচ্ছেন।
গত ১৫ এপ্রিল শুরু হওয়া যুদ্ধের তীব্রতা বেড়ে গেলে পশ্চিমের দেশের কূটনীতিকরা হঠাৎ খার্তুম ছেড়ে চলে যান। এ তালিকায় আছে—যুক্তরাজ্য, সুইডেন, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও স্পেন।
সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ তৃতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সুদানে প্রায় ১ হাজার ৫০০ বাংলাদেশি আছেন। এদের মধ্যে প্রায় ৭০০ বাংলাদেশি দেশে ফেরত আসার জন্য ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।
সুদানের সেনাবাহিনী এ ঘটনায় আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) দায়ী করছে।
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও দেশটির রাজধানী খার্তুমে তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশিদের দূতাবাসের হটলাইন নম্বরে দ্রুত যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সুদানে সংঘর্ষের মধ্যে আটকা পড়েছেন প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশি। সরকারের কাছে উদ্ধারের আকুতি জানিয়েছেন তারা।
গত ১৫ এপ্রিল দেশটির ক্ষমতা দখলে ২ সামরিক নেতার অনুসারীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী লড়াই শুরুর পর এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলো বিবদমান পক্ষগুলো।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আফ্রিকান দেশ হওয়া সত্ত্বেও সুদানে প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশির অবস্থানের কথা বিবেচনা করে সেখানে বাংলাদেশি মিশন চালু রাখা হবে।