সুদানের খার্তুম ছাড়তে শুরু করেছেন বাংলাদেশিরা

ছবি: মো সৈকত

'অবশেষে আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। গত ১৫ দিন আমরা নরক যন্ত্রণায় ছিলাম। ভাবতেও পারিনি যে প্রাণ নিয়ে দেশে ফিরতে পারব।'

সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে বাসে করে পোর্ট সুদানে যাওয়ার পথে হোয়াটসঅ্যাপ কলে দ্য ডেইলি স্টারকে কথাগুলো বলছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশি মো. সৈকত। তার মতোই খার্তুমে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের একটি অংশ সুদানের বন্দর শহরটির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন। তারা সেখান থেকে সৌদি আরব হয়ে দেশে ফিরবেন।

সৈকত বলেন, গত ১৮ বছর সুদানে যা কিছু অর্জন করেছি তার সবই ফেলে আসছি। তবু আমি খুশি যে প্রাণ নিয়ে দেশে ফিরতে পারছি।

তিনি জানান, সুদানের বাংলাদেশ দূতাবাস এই ব্যবস্থা করা বাসে স্থানীয় সময় আজ সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা) তারা পোর্ট সুদানের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। ঠিক কতজন বাংলাদেশি এখন সুদান ছাড়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন তা সুনির্দিষ্টভাবে বলতে না পারলেও তিনি জানান, ১১টি বাস যাত্রীদের নিয়ে খার্তুম ছেড়েছে।

বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করতে পারায় একই অনুভূতির কথা জানান রাসেল মিয়া, 'এটা আমি কল্পনাও করতে পারছিলাম না। আমরা ওখানে জীবন-মৃত্যুর মাঝখানে ছিলাম। আমাদের মৃত্যু হতে পারত। কিন্তু আমরা বেঁচে আছি। মনে হচ্ছে কল্পনার জগতে আছি।

তবে তারা নিশ্চিত নন যে খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানে পৌঁছাতে কত সময় লাগবে। এই দুই শহরের মাঝের রাস্তাতেও অনেক বিপদ আসতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা আছে।

এর আগে, খার্তুমে বাংলাদেশ দূতাবাস বলেছিল যে তারা খার্তুম এবং আশপাশের শহরগুলো থেকে বাংলাদেশিদের পোর্ট সুদানে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাসের ব্যবস্থা করেছে। সুদানে আটকে পড়া সব বাংলাদেশিকে ২ মে এর মধ্যে পোর্ট সুদানে নিয়ে যাওয়া হবে এবং দু-একদিনের মধ্যে তারা জেদ্দায় পৌঁছাবে বলে দূতাবাস জানিয়েছে।

জেদ্দার দুটি বাংলাদেশি স্কুল সুদান থেকে আনা নাগরিকদের খাবার, পানি, ওষুধ এবং অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করবে।

Comments

The Daily Star  | English

ACC to investigate irregularities in 11th National Election

A five-member team has been formed to investigate these allegations

34m ago