সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি সেনাবাহিনীর

সুদান, সেনাবাহিনী, খার্তুম,
সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করার দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যরা ভিডিও করেছে এবং একটি সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট করেছে। ছবি: রয়টার্স

সুদানের সেনাবাহিনী শুক্রবার খার্তুমের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে এক বিবৃতিতে দাবি করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে ব্যাকফুটে ছিল। তবে সম্প্রতি সাফল্য অর্জন করতে শুরু করে এবং আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছ থেকে দেশের কেন্দ্রস্থল পুনরুদ্ধার করেছে।

এদিকে আরএসএফ পশ্চিমাঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ সুসংহত করেছে, যুদ্ধে তাদের অবস্থান শক্ত করেছে এবং দেশকে কার্যত বিভক্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আরএসএফ তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে একটি সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে। যদিও তারা বড় আকারে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা মধ্য খার্তুমের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সামরিক সূত্র জানিয়েছে, আরএসএফ যোদ্ধারা প্রায় ৪০০ মিটার দূরে সরে গেছে।

এর আগে, সশস্ত্র বাহিনীতে আধাসামরিক বাহিনীর একীকরণকে কেন্দ্র করে ২০২৩ সালের এপ্রিলে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আরএসএফ দ্রুত খার্তুমের প্রাসাদসহ শহরের বাকি অংশও দখল করে নেয়।

প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে সেনা সদস্যদের উল্লাস করার ভিডিও শেয়ার করেছে সেনাবাহিনী। ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের জানালার কাচ ভেঙে গেছে এবং দেওয়াল বুলেটের দাগে ভরা।

প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার খবরকে স্বাগত জানিয়েছে অনেক সুদানি।

তবে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ পুনর্দখল ও খার্তুমে সেনাবাহিনীর অগ্রগতির বিষয়ে আরএসএফ তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার আরএসএফ জানিয়েছিল, তারা দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় উত্তর দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি দখল করে নিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

A floating mosaic of guavas, baskets and people

During the monsoon, Jhalakathi transforms into a floating paradise. Bhimruli guava market comes alive with boats carrying farmers, buyers, and tourists.

10h ago