টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজট হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রী সাধারণ ও পরিবহন শ্রমিকরা।
রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে এখন প্রায় সারা দিনই যানজট লেগে থাকছে।
এর প্রভাবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও দেখা দিয়েছে যানজট।
টঙ্গী থেকে রাজেন্দ্রপুর পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কে যানজট
‘গতকাল ছাত্রদের মধ্যে থাকা কিছু দুর্বৃত্তরা থানায় আগুন দেয়। সে সময় পুলিশ সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়। আজ সকাল থেকে তাই আমরাই এই কাজগুলো করছি।’
সবচেয়ে বেশি চোখে পড়েছে ব্যক্তিগত যানবাহন।
শাহবাগ, গুলিস্তান, পল্টন, প্রেসক্লাব সড়কে গাড়ি আটকে আছে।
দুপুর আড়াইটা থেকে প্রায় ৩০ মিনিট বন্ধ ছিল মেট্রোরেল।
‘নগরীতে গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে যে বিশৃঙ্খলা, তা পে-পার্কিংয়ের মাধ্যমে লাঘব হবে বলে আশা করি।’
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই মহাসড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে।
‘আজ ভোর ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়েছে ২৯ হাজার ৭৮০টি যানবাহন।’
নোয়াখালীর মাইজদীগামী শেফালি বেগম জানান, মেঘনা ব্রিজ এলাকায় প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে ছিলেন তিনি।
আখেরি মোনাজাত শেষে টঙ্গী ও জয়দেবপুর রেলস্টেশনে তিলধারণের ঠাঁই নেই
সোমবার সকাল থেকে ঢাকার মিরপুর-১০, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, আসাদগেট, ধানমন্ডি, কলাবাগান, পান্থপথ, কারওয়ানবাজার ও ফার্মগেট এলাকা ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়েছে। আজ এসব এলাকার অনেক দোকানপাটও বন্ধ।
বিকেল ৩টার দিকে গাজীপুরের বোর্ডবাজারে মহাসড়কের পাশে সিটি করপোরেশনের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে পথসভা শুরু হয়।
সকাল ১১টা থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিপিএটিসি বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে বলিয়ারপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।
‘ভেতরে জায়গা থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু মালিক রাস্তায় গাড়ি রাখতে বলেছে। তাই রেখেছি।’
সকাল থেকে বাংলামোটর, মগবাজার, কাকরাইল, নাইটিঙ্গেল মোড়, মতিঝিল, গেন্ডারিয়া, দয়াগঞ্জ ও যাত্রাবাড়ী মোড় এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় সড়কে যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা...
চেকপোস্টে প্রায় সবগুলো গাড়ি তল্লাশির কারণে ঢাকার প্রবেশমুখ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাবতলী থেকে সালেহপুর ব্রিজ পর্যন্ত ঢাকামুখী লেনে অন্তত ৪ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে।