বিএনপি-জামায়াতের সমাবেশ, রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজট-জনভোগান্তি

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠনগুলোর রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে রাজধানীতে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। এর ফলে হাজার হাজার যাত্রী সড়কে দুর্ভোগে পড়েছেন।
রাজধানীর শাহবাগ, কাকরাইল, পল্টন, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী এবং পুরান ঢাকার বিভিন্ন অংশসহ প্রধান সড়কগুলোতে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট দেখা দেওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং ট্রাফিক পুলিশ জানান, সকালে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের কারামুক্তির পর শাহবাগে জামায়াত সমর্থকেরা জড়ো হলে যানজট শুরু হয়। এই সমাবেশ প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী হলে আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক আকারে যানজট ছড়িয়ে পড়ে।

এরপর পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে যখন বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী দুপুর ২টার দিকে তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন।
এসময় মতিঝিলের দিকে যাওয়া যানবাহন দীর্ঘ সময় ধরে যানজটে আটকা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
মতিঝিল থেকে ফার্মগেটের দিকে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী শফিকুল ইসলামের সঙ্গে বাংলা মোটরের কাছে কথা হয় দ্য ডেইলি স্টার প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, 'প্রচণ্ড গরমে পল্টনে আধা ঘণ্টারও বেশি সময় বাসে আটকা পড়েছিলাম। পরে হেঁটেই রওনা দিই।'

তিনি ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, 'রাজনৈতিক দলগুলো সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে তাদের কর্মসূচি পালন করতে পারে। তারা নগরবাসীর দুর্ভোগের কথা একেবারেই ভাবে না।'
যানজটে ভরা বাসের মধ্যে অনেক লোককে তীব্র গরমে ঘামতে দেখা যায়। আবার অনেকে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে যেতে বাধ্য হন। অনেক শিশুকে স্কুল থেকে ফিরতে যানজটে আটকা পড়ে থাকতে দেখা যায়।

রমনা এলাকার বাসিন্দা সুমাইয়া আক্তার বলেন, রিকশা এবং অন্যান্য যানবাহন যানজটে আটকে থাকায় তিনি তার ছেলেকে নিয়ে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ পর্যন্ত হেঁটে যেতে বাধ্য হন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সারোয়ার বলেন, 'ঢাকার বাইরে থেকে হাজার হাজার বিএনপি সমর্থক নয়াপল্টনে আসায় মতিঝিল, লালবাগ, ওয়ারীসহ ঢাকার দক্ষিণের বিভিন্ন স্থানে যানজট দেখা দেয়। পরবর্তীতে যানজট শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে।'

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত ট্রাফিক কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Comments