‘সরকার হয়তো খাদ্যশস্য মজুদের সংকটে ভুগছে।’
নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও সদর উপজেলার। সদরের ৯৬৩টি ও কলমাকান্দায় ৩২২টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন অনেকে।
শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণার সাম্প্রতিক বন্যায় এখনো ৬৩ হাজার ১৭১ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছে।
দুই দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোণার পূর্বধলা, কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন প্লাবিত ৫০ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক এ বন্যায় এখন পর্যন্ত আট জনের মৃত্যু হয়েছে। উপদ্রুত এলাকাগুলোর বেশিরভাগ সড়ক ভেঙে গেছে।
নেতাই নদীর বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দেওয়ায় ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি দেখা দিয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শেরপুরে ২২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের মনিটরিং স্টেশন জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৪০ মিলিমিটার (নয় দশমিক চার ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা ২০০২ সালের পর সর্বোচ্চ বর্ষণের রেকর্ড।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
চার জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, বিভাগে অন্তত ১৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন।
ডুবে গেছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলের মাঠ
বন্যায় সিলেট নগরী, সুনামগঞ্জ শহর ও দুই জেলার সবকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
‘শনিবার রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ২২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।’
সিলেট নগরীর ৪২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৮টিই এখন পানিতে তলিয়ে আছে।
কানাইঘাট উপজেলা পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার ওপর ও কুশিয়ারা নদী জকিগঞ্জের অমলসীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জাফলং-বিছনাকান্দিসহ সব পর্যটন এলাকার পর্যটকবাহী নৌকা নিয়ে উদ্ধার অভিযান চলছে।
সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, সারিগোয়াইন নদীর সমতল কোথাও কোথাও বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
মানবিক সংস্থাগুলো বলেছে বন্যায় স্বাস্থ্যসেবা ও পানি সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।