দক্ষিণে ঝড়ের ক্ষত না শুকাতেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা
পশ্চিমমধ্য ও দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রোববার রাতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলে আঘাত হানে। সেই ক্ষত না শুকাতেই স্বল্প মেয়াদী বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আজ বুধবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।
সতর্কীকরণ কেন্দ্রের কর্তব্যরত কর্মকর্তা সজল কুমার রায় জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, সারিগোয়াইন নদীর সমতল কোথাও কোথাও বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে স্বল্প মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু জায়গায় এবং উজানে মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে জানিয়ে সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তরাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানির সমতল ধীর গতিতে এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীগুলোর পানির সমতল দ্রুত বাড়তে পারে।
এছাড়া, ব্রহ্মপুত্র নদ ও যমুনা নদীর পানি ধীর গতিতে বাড়তে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটের দক্ষিণবাগে ১৮০ মিলিমিটার, জকিগঞ্জে ১০৭, জাফলংয়ে ১০১, লাটুতে ১০০, ছাতকে ৭৩, সিলেট সদরে ৮২, লালাখালে ৮১, কানাইঘাটে ৬৬ ও সুনামগঞ্জে ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়া ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ১৮২, আসামের সিলচরে ১৪৬, গোয়ালপাড়ায় ৯৪, তেজপুরে ৫১, ধ্রুব্রিতে ৪৩ ও পশ্চিমবঙ্গে জলপাইগুড়িতে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
গত রোববার রাতে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল পশ্চিমবঙ্গের সাগর আইল্যান্ড এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া ও মোংলার দক্ষিণ দিকের উপকূলে আঘাত হানে। পর দিন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, ঝড়ের কবলে পড়ে ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া উপকূলীয় ১৯ জেলা ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
Comments