‘জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করার কোনো অধিকার আমাদের নেই।’
বাংলাদেশ রেলওয়ের ছয়টি বড় প্রকল্প বছরের পর বছর ধরে থমকে আছে কিংবা অগ্রগতি খুবই কম। এর মধ্যে অর্থায়ন নিয়ে জটিলতার কারণে দুটি প্রকল্পের ভাগ্য এখন একেবারেই অনিশ্চিত।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেকগুলো প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেটা করার কোনো সুযোগ নেই। সেটা কিন্তু হতে দেওয়া যাবে না।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩ এর ৩৪ নম্বর ধারায় বলা আছে, ‘যে কোনো স্টেশন, বন্দর, পার্ক, টার্মিনাল ও সড়ক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আরোহণ, চলাচল ও ব্যবহার উপযোগী করতে হবে।’
আরও দুটি প্রকল্পের উদ্বোধন হবে। এগুলো হলো—খুলনা–মোংলা রেললাইন ও মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ইউনিট-২।
আজ বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১২ হাজার ৮৭৩ কোটি ১১ লাখ টাকা।
আশা করা হচ্ছে—এই ঋণ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তারুণ্য, পল্লী ও নগর অবকাঠামো এবং পানিসম্পদ উন্নয়ন খাতে ব্যবহার করা হবে। স্বাস্থ্যখাতের ২ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।
‘একনেকে অনুমোদনের পরই অর্থায়ন চুক্তি সই হতে পারে এবং প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে কার্যকর ঘোষণা করা যেতে পারে।’
ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা প্রকল্পটি নেওয়া হয় ৪ বছর আগে। এর জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১০ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। তবে, এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দের ৪৮ শতাংশ বাড়তি ব্যয় হবে এবং শেষ হতেও সময় লাগবে আরও ২...
লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বাদাইটারী গ্রামে ধরলা নদীর ৪৫০ মিটার তীররক্ষার কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। গত ৫ বছরে এর মাত্র ১০০ মিটারের কাজ শেষ হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে তাদের ২টি প্রকল্পের সময়সীমা শেষ হওয়ার ৪ মাস আগে এসে কেবল পরামর্শদাতা নিয়োগ করেছে।
ঢাকা ওয়াসার পদ্মা-জশলদিয়া পানি শোধনাগারের উদ্বোধন হয় ৩ বছর আগে। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল পদ্মা নদীর পানি পরিশোধন করে ঢাকায় সরবরাহ করা।
উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তুত, প্রক্রিয়াকরণ ও মূল্যায়নের সঙ্গে জড়িত প্রায় ৭৬ শতাংশ সরকারি কর্মকর্তা মনে করেন, পর্যাপ্ত সম্ভাব্যতা যাচাই ও স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শ ছাড়াই বিভিন্ন প্রকল্প অনুমোদন পায়।
অভ্যন্তরীণ ও আন্তদেশীয় রেল যোগাযোগ বাড়াতে ২০১৮ সালের শুরুর দিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে (বিআর) রেললাইন সম্প্রসারণের জন্য ৫ হাজার ১৮৭ কোটি টাকার ২টি প্রকল্প হাতে নেয়।