প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতিতে বিশ্বব্যাংকের উদ্বেগ

‘একনেকে অনুমোদনের পরই অর্থায়ন চুক্তি সই হতে পারে এবং প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে কার্যকর ঘোষণা করা যেতে পারে।’
বিশ্বব্যাংক, সিপিএফ, কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক,

বাংলাদেশে ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের গড় সময় ৭ বছর হওয়ায় অংশীদারিত্ব কাঠামোর কার্যকর বাস্তবায়নের বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ বলে সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংকের ২০২২-২৩ থেকে ২০২৬-২৭ অর্থবছরের জন্য কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কের তথ্য অনুযায়ী, প্রকল্পের প্রস্তুতি ও অনুমোদনের জন্য সরকারের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া 'খুব জটিল ও ধীর'। গত ২৭ এপ্রিল এই কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কের অনুমোদন দেয় বিশ্বব্যাংকের বোর্ড।

প্রকল্প বাস্তবায়ন বর্তমানে 'প্রাথমিক প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা, প্রকল্পের প্রস্তুতি ও বাস্তবায়নের জন্য সরকারের সীমিত আর্থিক বরাদ্দ, বরাদ্দকৃত তহবিলের কম বাস্তবায়ন এবং নীতি ও প্রবিধানের বিভ্রান্তি'র কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

২০১৫-১৬ ও ২০২০-২১ অর্থবছরের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে মোট ২৬৬টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে এবং সরকার অনুমোদিত একটি প্রকল্প পেতে গড়ে ২ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে।

বিশ্বব্যাংকের দল, মন্ত্রণালয় ও বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় বাস্তবায়নকৃত প্রকল্পের প্রস্তুতি ধারণা পর্যালোচনা ও ঋণ কার্যক্রমের বোর্ড অনুমোদনের সময় গড়ে প্রায় ১ বছর।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাংকের অনুমোদন পর্যন্ত প্রকল্পের প্রস্তুতির সময় বিলম্ব প্রায়ই সরকারের অভ্যন্তরীণ পরামর্শ ও ছাড়পত্রের একটি জটিল প্রক্রিয়ার কারণে আরও ১ বছর (বা তার বেশি) বাড়ানো হয়, যা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির মাধ্যমে প্রকল্প অনুমোদনের দিকে পরিচালিত করে।

'একনেকে অনুমোদনের পরই অর্থায়ন চুক্তি সই হতে পারে এবং প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে কার্যকর ঘোষণা করা যেতে পারে। ফলে অর্থায়ন কার্যক্রমে প্রকল্পের অর্থ বিতরণের পথ প্রশস্ত হয়', প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সরকারের জন্য এই প্রক্রিয়ার মূলে আছে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন, যারা পাবলিক বিনিয়োগের তত্ত্বাবধান করে, সব বিনিয়োগ প্রকল্পের মূল্যায়ন করে, প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা আহ্বান করে এবং প্রকল্পগুলো একনেক অনুমোদনের জন্য জমা দেওয়ার আগে সেগুলোর বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকে।

পিইসির সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াকে আরও দক্ষ করার জন্য বিশ্বব্যাংক প্রকল্প জমা দেওয়ার পরে পিইসি ছাড়পত্রের জন্য সময়সীমা স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে।

বিশ্বব্যাংক মনে করে, পিইসি ও প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আরও ভালো যোগাযোগ প্রয়োজন, বিশেষত যখন পিইসি কার্যক্রম পরিবর্তন করার জন্য নির্দেশিকা প্রস্তুত করে এবং তাদের ব্যয় হ্রাস করে।

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে পুরো প্রতিবেদন পড়তে ক্লিক করুন WB concerned about project delays

Comments