বিশ্বব্যাংকের ঋণ

১২ প্রকল্পে ৪.৯ বিলিয়ন ডলার পেতে পারে বাংলাদেশ

বিশ্বব্যাংক ভবন। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বব্যাংক ভবন। ছবি: সংগৃহীত

আগামী অর্থ বছরে ১২টি প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশ বিশ্ব ব্যাংকের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাবে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাংকের শর্ত হলো—সবগুলো প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

আশা করা হচ্ছে—এই ঋণ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তারুণ্য, পল্লী ও নগর অবকাঠামো এবং পানিসম্পদ উন্নয়ন খাতে ব্যবহার করা হবে। স্বাস্থ্যখাতের ২ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটি বিশ্বব্যাংকের একটি ইন্ডিকেটিভ পরিকল্পনা।'

তিনি জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঋণ অনুমোদন নির্ভর করবে সময় মতো প্রকল্পের কাগজপত্র প্রস্তুত করা ও জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেকের) অনুমোদনের ওপর।

বিশ্বব্যাংকের ৫ বছর মেয়াদি (২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে ২০২৬-২৭) কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কের (সিপিএফ) আওতায় এ তহবিল দেওয়া হবে।

বিশ্বব্যাংক ২৭ এপ্রিল এই সিপিএফের অনুমোদন দেয়। বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটন ডিসিতে সংস্থাটির সদরদপ্তর পরিদর্শনে যাওয়ার আগে এই অনুমোদন আসে।

১২টি প্রকল্পের মধ্যে স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টিখাত উন্নয়ন কর্মসূচি (এইচপিএনএসডিপি) পাবে ৯০০ মিলিয়ন ডলার। সিপিএফ সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটির ঋণ অনুমোদনের তারিখ ২০২৪ সালের ২৭ মার্চ।

এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পঞ্চম এইচপিএনএসডিপি উদ্যোগ।

ঢাকার ৫টি নদীর বাস্তুসংস্থান পুনরুদ্ধার প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংক ৩০০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করবে।

বিশ্বব্যাংক সিপিএফ বাস্তবায়নে কিছু ঝুঁকির উৎস চিহ্নিত করেছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও নীতি ও প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতার কারণে সিপিএফের আওতাধীন সংস্কার ও বিনিয়োগের প্রস্তুতি ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ঝুঁকি বাড়ছে।

এতে আরও বলা হয়, 'বিশ্বব্যাংক গ্রুপ পলিটিকাল ইকোনোমির ঝুঁকি ও উন্নয়ন পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সিপিএফ কর্মসূচি সামঞ্জস্য করার বিষয়টি বিবেচনা করবে।'

বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপট প্রতিবেদনে ব্যষ্টিক অর্থনীতিগত ঝুঁকিকে উল্লেখযোগ্য বলে অভিহিত করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, 'সারা বিশ্বে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ইতোমধ্যে দেশের রপ্তানি ও আর্থিক ভারসাম্যের উপর চাপ বেড়েছে এবং একইসঙ্গে, আর্থিক খাতের ভঙ্গুরতাও বিদ্যমান।'

বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, দেশের মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে নীতিমালা সংক্রান্ত সমন্বয়ে দুর্বলতা আছে। একইসঙ্গে বাস্তবায়নের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও টেকসই ঝুঁকির পরিমাণও উল্লেখযোগ্য।

প্রতিবেদন মতে, সামনে এগিয়ে যেতে সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনায় সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের উপর বিধিনিষেধ আরোপের কারণে অনেক বাণিজ্যিক ব্যাংক বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত কর্মসূচির জন্য এলসি খোলা থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজের অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না।

ঠিকাদারদের অর্থ পরিশোধে বিলম্বের কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি কমে এসেছে বলেও মন্তব্য করা হয় প্রতিবেদনে।

সংক্ষেপিত, মূল প্রতিবেদন পড়তে ক্লিক করুন World bank loan: $4.9b next fiscal

ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান

Comments

The Daily Star  | English

Yunus opens second round of talks to strengthen national unity

'Beautiful July Charter' would be unveiled following discussions, he says

2h ago