যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের একক বৃহত্তম ক্রেতা। চীনের পর বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক প্রস্তুতকারক।
বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির চাপ ও রপ্তানির মূল বাজারগুলোয় পোশাক পণ্যের দাম কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
রপ্তানি কমার পেছনে ইউরোপের উচ্চ মূল্যস্ফীতিরও প্রভাব আছে। ফলে, বেশিরভাগ দেশ থেকে রপ্তানির পরিমাণে নিম্নমুখী প্রবণতা ছিল।
বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে ভালো করেছে। কারণ তথ্যে দেখা গেছে, তাদের রপ্তানির পরিমাণের দিক দিয়ে বেড়েছে।
ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পোশাক রপ্তানিকারকরা উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
এ শিল্পে চলমান অস্থিরতা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে তা নিশ্চিতভাবেই রপ্তানিতে প্রভাব ফেলবে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউরোপের এক পোশাক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা।
আজ মঙ্গলবার কারখানা খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মালিকরা।
ওটেক্সা শিল্প পরিস্থিতি বিশ্লেষণের পাশাপাশি মার্কিন বাণিজ্য নীতি উন্নয়নে কাজ করে।
‘রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (এসইজেড) বাইরে বিনিয়োগের অনুমতি না দেওয়ার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত বিনিয়োগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর বিশ্বের সব দেশ থেকে পোশাক রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হলেও, বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস রপ্তানি অব্যাহত ছিল। এখন রপ্তানি আরও বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি চলতি বছরের জানুয়ারি-আগস্টে গত বছরের তুলনায় ৫৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়েছে।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।