যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ১৭.৮৮ শতাংশ কমেছে

চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানি এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ কমেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (ওটিইএক্সএ) তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৩ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক পণ্য রপ্তানি করেছিল। কিন্তু এই বছর এর পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি করে ৯ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ।

উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সব দেশ থেকে পোশাক আমদানি কমিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত বছরের জুনে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ১ শতাংশ। তবে চলতি বছরের এপ্রিলে তা কমে ৪ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে আসে।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, যদিও যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি কমেছে, কিন্তু এরপরেও আগামী আরও কয়েক মাস সেখানে বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানি কমই থাকতে পারে।

তিনি বলেন, 'মার্কিন ক্রেতারা পোশাকের মতো খাতে এখনো কম অর্থ ব্যয় করছেন। তাই আমরা আশা করছি যে আমাদের রপ্তানি ডিসেম্বর নাগাদ স্বাভাবিক হবে।'

'চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি মূল্যমান বিবেচনায় ১৯ শতাংশ এবং আকার বিবেচনায় ৩০ শতাংশ কমেছে', যোগ করেন তিনি।

মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ব্যাংক সুদের হার বাড়ানোয় আরও কয়েক মাস এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ওটিইএক্সএর তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে অন্যান্য পোশাক রপ্তানিকারকদের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো করছে।

বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় পোশাক সামগ্রী রপ্তানিকারক দেশ চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি জানুয়ারি থেকে এপ্রিলে ৩২ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমেছে। ভিয়েতনাম থেকে রপ্তানি ২৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ভারত থেকে ১৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়া থেকে রপ্তানি ২৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ কমেছে।

ওটিইএক্সএর তথ্য বলছে, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল সময়কালে যুক্তরাষ্ট্র ২৫ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ে তুলনায় ২২ দশমিক ১৫ শতাংশ কম।

Comments

The Daily Star  | English

Drug sales growth slows amid high inflation

Sales growth of drugs slowed down in fiscal year 2023-24 ending last June, which could be an effect of high inflationary pressure prevailing in the country over the last two years.

16h ago