যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমেছে

গার্মেন্টস শ্রমিক
প্রতীকী ফাইল ছবি

চলতি অর্থবছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানি কমেছে। মূলত নিটওয়্যার পণ্যের রপ্তানি কমার কারণে এই ধারা দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) জুলাই-জানুয়ারি সময়ে রপ্তানিকারকরা ৪ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছেন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কম।

একই সময়ে ওভেন গার্মেন্টস রপ্তানি বেড়েছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং নিটওয়্যার রপ্তানি কমেছে ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে পোশাকের রপ্তানি ইতিবাচক ছিল। গত বছর পোশাক রপ্তানি থেকে মোট আয়ের ২০ শতাংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।

অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কার মাঝেই গত ৪ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমেছে।

বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, রপ্তানি কমার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ মূল্যস্ফীতিই দায়ী।

এই ধারা অব্যাহত থাকলে সার্বিকভাবে রপ্তানি আয় কমে যেতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

'তবে প্রথাগত বাজারের বাইরে রপ্তানির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় তা যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমার নেতিবাচক প্রভাব কমিয়েছে। এটি একটি ভালো বিষয়', যোগ করেন তিনি।

চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত পোশাক রপ্তানি থেকে মোট আয় আগের বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেড়ে ২৭ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রথাগত বাজারের বাইরে নতুন বাজারে ভালো ফল পাওয়ায় এ খাতের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মাসের মাঝে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) পোশাক রপ্তানি ১৫ শতাংশ বেড়ে ১৩ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১১ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার।

ইউরোপের বৃহত্তম বাজার হিসেবে জার্মানি ৪ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। আগের বছরের তুলনায় এটি শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ বেশি।

তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি আরও বেশি হয়েছে।

প্রথাগত বাজার না হওয়া সত্ত্বেও এ বছর জাপানে রপ্তানির পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪৬ শতাংশ বেড়ে ৯২০ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।

এ ধরনের অন্যান্য বাজারের মাঝে আছে মালয়েশিয়া, ব্রাজিল ও ভারত। এসব দেশে যথাক্রমে ৯২ দশমিক ৭ শতাংশ, ৬৪ দশমিক ১ শতাংশ এবং ৫৮ শতাংশ রপ্তানি বেড়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

US tariff talks: First day ends without major decision

A high-level meeting between Bangladesh and the Office of the United States Trade Representative (USTR) ended in Washington, DC, yesterday without a major decision, despite the looming expiry of a 90-day negotiation window on July 9.

4h ago