মুদ্রানীতি কড়াকড়ি ও আমদানি কমিয়েও যখন মূল্যস্ফীতি রোধ করা সম্ভব হয় না, তখন সাধারণ মানুষের জন্য এই লড়াই আরও কঠিন হয়ে ওঠে।
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে রয়েছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার পরিস্থিতি এবং সরবরাহ তদারক ও পর্যালোচনার জন্য জেলা পর্যায়ে 'বিশেষ টাস্কফোর্স' গঠন করেছে সরকার।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দ্বীপের কয়েকজন মিলে সিন্ডিকেট তৈরি করে খাদ্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়েছেন।
‘আমাদের দেশের নাগরিকদের অসন্তুষ্ট হওয়ার কোনো কারণ নেই। জনগণকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য আমরা সব ব্যবস্থাই চালিয়ে যাচ্ছি।’
ভোক্তাদের দাবি, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে এভাবে নানা সময়ে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাজারে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী সবাই নিয়মের মধ্যে এলে পণ্যের দাম ধীরে ধীরে কমে যাবে।’
‘কর্তৃপক্ষ শুধু দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেগুলো কার্যকর করার ব্যবস্থা নেয়নি'
‘যে যার খুশিমতো দাম বাড়াচ্ছে।’
‘কোনো কারণ ছাড়াই বাজারে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে।’
আজ প্রতি কেজি ইন্দোনেশিয়ার আদা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, বার্মা আদা ১৫০ টাকায় এবং থাইল্যান্ডের আদা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।
অস্থিরতার আঁচ কখনও লাগছে তেলে, কখনও আটা-ময়দায়, কখনও চাল-ডাল-চিনির মত প্রতিদিনের ভোগ্যপণ্যে। এমন পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যকার বচসাও যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আজ শনিবার কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি আদার দাম ৪৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৭৬ টাকা।
দাবি মানা না হলে দেশব্যাপী প্রতিবাদ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪: সিপিডি’র সুপারিশমালা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলা হয়।
রমজানে চাহিদার শীর্ষে থাকা পণ্যগুলো হলো- ছোলা, মসুর ডাল, মটর ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর।
গম আমদানি কমে যাওয়ায় আটার রুটি ও বিস্কুট তৈরিতে ইতোমধ্যে ভোজ্যতেল ও চিনির ব্যবহার কমে গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, ছোলা, চিনি, বেসন, মসুর ডালসহ শুকনো বিভিন্ন পণ্যের দাম রমজান উপলক্ষে বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি, ডলার সংকট ও ঋণপত্র (এলসি) খোলায় জটিলতার কারণে গত ১ মাসের ব্যবধানে গুঁড়া দুধের দাম ৫০ থেকে ১১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।