বৃষ্টির ‘অজুহাতে’ কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম

স্টার ফাইল ফটো

রাজধানীতে টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টিতে সরবরাহ কমে গেছে, পরিবহন সমস্যা হচ্ছে ও অসুস্থ হয়ে অনেক মুরগি মারা যাচ্ছে।

ক্রেতারা বলেছেন, নিয়ন্ত্রণ না থাকায় বিভিন্ন অজুহাতে ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে ব্যবসায়ীরা। নিরুপায় হয়ে বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে তাদের।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কারওয়ান বাজারসহ ঢাকার কয়েকটি বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ২০০ টাকায়। অথচ ৩ দিন আগেও মুরগির দাম ছিল প্রতি কেজি ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের কিউব পোল্ট্রি হাউজের ব্যবসায়ী মো. জিয়াউল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি আজকে ২০০ মুরগি কিনেছি কেজি ১৯০ টাকা দরে। এর মধ্যে ৪টা মুরগি মারা গেছে, প্রায় সাড়ে ৭ কেজির মতো লোকসান হয়েছে। যে গাড়িতে মুরগি আনা হয়, সেগুলোতে মুরগি ভিজে ভিজে আসে। দোকানে আনার পর কাঁপতে থাকে, অসুস্থ হয়ে যায়। নামাতেই চারটা মুরগি মৃত পেলাম।'

বৃষ্টির কারণে মুরগী অসুস্থ হয়ে পড়ছে, ওজন কমে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। বলেন, 'নরসিংদীতে চোখের সামনেই মেপে দিলো। কারওয়ান বাজারে নামানোর পর দেখি ওজনে ৫০ কেজিতে ২ কেজির মতো কম হয়। বৃষ্টির কারণে মাল অর্ধেক উঠিয়েছি, তাও ওজনে কম হচ্ছে। এর ওপর কর্মচারীর বেতন আছে। বৃষ্টির জন্য পরিবহন খরচ বেশি।'

দাম না বাড়ালে লোকসান করতে হবে বলে জানান তিনি।

মুরগি কিনতে আসা আব্দুল হাকিম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রোদ-বৃষ্টি এগুলো সবই অজুহাত। যাদের অবস্থা ভালো, তারা তো একটু বেশি দাম হলেও কিনতে পারছে। সীমিত আয়ের মানুষের যত কষ্ট। শুক্র-শনিবার—ছুটির দিনে ছেলেমেয়েরা ভালো খেতে চায়, সবাই চায় বাসায় ভালো রান্না হোক। ফলে চাহিদাও বেশি থাকে। আমার বাসায় মেহমান আসছে। কী আর করা! এখন বাধ্য হয়ে বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

18h ago