জাহাজ পৌঁছালেও সেন্টমার্টিনে নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দাম
খাদ্যদ্রব্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে গতকাল শনিবার ভোরে একটি জাহাজ সেন্টমার্টিনে পৌঁছেছে। এতে দ্বীপের খাদ্য সংকট নিয়ে তৈরি হওয়া উদ্বেগের অবসান ঘটলেও, স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারেননি দ্বীপবাসী।
কারণ খাদ্যদ্রব্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দামে দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
সেন্টমার্টিনে ৫০ কেজির এক বস্তা চাল বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকায়, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ টাকায়। প্রতি পিস ডিম ২০ টাকা এবং পেঁয়াজ এক কেজি ১৩০ টাকা, আলু এক কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ফার্মের মুরগি ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দ্বীপের কয়েকজন মিলে সিন্ডিকেট তৈরি করে খাদ্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেন্টমার্টিনের এক বাসিন্দা বলেন, 'দ্বীপের ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া পর্যটন জাহাজ বারো আউলিয়ায় বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে আসলেও, তারা সংকটকে পুঁজি করে অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।'
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ইয়ামিন হোসেন বলেন, জাহাজে করে সেন্টমার্টিনে পাঠানো খাদ্যসামগ্রী ও অন্যান্য পণ্যে দ্বীপবাসী এক মাস চলতে পারবেন।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, যেসব ব্যবসায়ী বেশি দামে বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দামের সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটের সদস্যদের তালিকা আমি কক্সবাজারের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছি।'
এডিএম ইয়ামিন বলেন, 'নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উচ্চমূল্য রাখার জন্য একজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়ার পর গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৬০০ টাকা এবং ডিমের দাম ১৬ টাকায় নেমেছে।'
'কারো বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পেলেই আমরা ব্যবস্থা নেব', যোগ করেন তিনি।
এদিকে মিয়ানমারের তিনটি যুদ্ধজাহাজ এখনও দ্বীপ থেকে দেখা গেলেও, সেন্টমার্টিন থেকে এগুলো অনেক দূরে সরে গেছে।
Comments