গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল তা রপ্তানিকারকদের সংকটে ফেলে দেয়।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, চীনের পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করায় আমেরিকার প্রতিষ্ঠানগুলো ভবিষ্যতে আরও বেশি বাংলাদেশে আসবে।
গত বছর বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মোট ৩৮ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে ভালো করেছে। কারণ তথ্যে দেখা গেছে, তাদের রপ্তানির পরিমাণের দিক দিয়ে বেড়েছে।
স্থানীয় পোশাক ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় পশ্চিমা ক্রেতারা এখন কারখানা পরিদর্শন ও উৎপাদনের ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছে।
‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি কাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখা পোশাক শিল্পের জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ। কেননা, কারখানাগুলো বর্তমানে চালু আছে।’
‘ফরওয়ার্ডার এক্সপো ফ্রেইট লিমিটেডের (ইএফএল) গাফিলতির কারণে বকেয়া টাকা পাওয়া যায়নি।’
এ শিল্পে চলমান অস্থিরতা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে তা নিশ্চিতভাবেই রপ্তানিতে প্রভাব ফেলবে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউরোপের এক পোশাক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যের ভিত্তিতে রপ্তানির এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে।
দেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের কাছে সুতার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গত ২ সপ্তাহ ধরে অভ্যন্তরীণ বাজারে বাড়তি সুতার দাম।
ইইউ ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে যে, ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের সব গার্মেন্টস পণ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য সুতা থেকে তৈরি হতে হবে।
ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ ২০২৩-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৫ সালে বাংলাদেশের অংশ ছিল ২ দশমিক ৫ শতাংশ, কিন্তু গত বছর তা বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ।
পোশাক রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে দেশটি দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। গত সোমবার বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুসারে, সারাবিশ্বে হ্যাট-ক্যাপের অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে আবির্ভূত হওয়ায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের রপ্তানি আয় আগের বছরের তুলনায় ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়েছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) তথ্য অনুসারে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি ৪২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১২ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
সিডনির আন্তজার্তিক কনভেনশন সেন্টারে আজ শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী আগামী ১৩ জুলাই পর্যন্ত চলবে। প্রদর্শনীতে ২৯টি দেশের প্রায় ৩৫০ প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮৫ শতাংশ পোশাক রপ্তানি করা হয়।
ইউরোপের মতো বড় বাজারগুলোয় অর্থনৈতিক মন্দার কারণে চাহিদা কমে যাওয়ায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের হিমায়িত ও টাটকা মাছ, কৃষিপণ্য, চামড়া ও চামড়ার জুতা এবং পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয় কমেছে।
রোববার এক ওয়ার্কশপে বাণিজ্য সচিব এ কথা বলেন।