‘ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাজার সুরক্ষিত করতে প্রয়োজন পণ্যের বৈচিত্র্য’

ইউরোপীয় ইউনিয়ন
‘এক্সপ্লোরিং এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন অপারচুনিটিস ইন দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন’ সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত

বৈচিত্র্যময় পণ্যের দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) বাজার সুরক্ষিত করা সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশের। এমনকি, তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রেও বৈচিত্র্য আনা প্রয়োজন।

ইইউতে বিক্রি হওয়া কটন ফাইবার গার্মেন্টসে বাংলাদেশের অবদান ৩৪ দশমিক ৭ শতাংশ এবং চীনের অবদান মাত্র ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ।

অন্যদিকে, এই জোটে বিক্রি হওয়া নন-কটন গার্মেন্টসে চীনের অবদান ৪১ দশমিক ২ শতাংশ এবং বাংলাদেশের মাত্র ১২ দশমিক ২ শতাংশ।

বেসরকারি থিংক ট্যাংক রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র‌্যাপিড) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, 'ইইউয়ে সম্ভাবনাময় বৈচিত্র্যময় পণ্যের বিষয়টি এখন বাংলাদেশকেই খুঁজে নিতে হবে।'

রাজধানীর সিক্স সিজনস হোটেলে ফ্রেডরিখ-এবার্ট-স্টিফটুং বাংলাদেশের সহযোগিতায় র‌্যাপিডের আয়োজনে অনুষ্ঠিত 'এক্সপ্লোরিং এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন অপারচুনিটিস ইন দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন' সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

২০৩০ সালের মধ্যে ইইউয়ে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ২৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলেও এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, চীন ছাড়াও অন্যান্য দেশ থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করা হলে তা বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পরও যদি হাতে তৈরি সুতা ব্যবহার করা হয় তাহলে বাংলাদেশ ইইউয়ের (ইইউ) অগ্রাধিকারমূলক বাজারের সুযোগ নিতে পারবে।

বর্তমান সরবরাহ ব্যবস্থা ও বাজার ধরার শর্তের ভিত্তিতে এমনটি ধারণা করা হচ্ছে।

তৈরি পোশাকের বাইরে বাংলাদেশের বেশি রপ্তানি হওয়ার সম্ভাবনাময় পণ্যের মধ্যে আছে জুতা, চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, মাছ ও চিংড়ি।

সমীক্ষা অনুসারে, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে আসা যখন সময়ের ব্যাপার মাত্র তখন রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণের প্রয়োজনীয়তা আগের তুলনায় আরও বেশি স্পষ্ট হয়েছে।

ইউরোপে বিপুল সংখ্যক ক্রেতা ও বাংলাদেশের সঙ্গে ঐতিহাসিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক ইইউয়ের বাজারে প্রভাব বিস্তার করতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে।

ইইউসহ বিশ্ববাজারে চীনের প্রভাব ধীরে ধীরে কমতে থাকায় রপ্তানিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার পাশাপাশি তা আরও প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনাও আছে।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, 'বাংলাদেশ রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনলেও পোশাক খাত এখনো আধিপত্য বিস্তার করছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে কারখানা পর্যায়ে কমপ্লায়েন্সের বিষয়ে অনেক কিছু করেছে।'

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।

Comments

The Daily Star  | English

Built by expat brothers, rural factories send shoes abroad

In search of a better future, Md Selim and Hasanuzzaman Hassan migrated to the US roughly over three decades ago. The brothers eventually found success in construction business there but could not ignore the urge for contributing to their homeland. 

19h ago