প্রথম বাবা হওয়ার প্রসঙ্গ এলে হাস্যজ্বল মুখে শফিকুল বলেন, 'সবচাইতে বড় বিষয় মেয়ের বাবা হয়েছি। অবশেষে, তার সাথে দেখা হবে, ইনশাআল্লাহ। এই সুখানুভুতি আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।'
মুক্তির দিন সকাল থেকেই দস্যুরা অনেক সিরিয়াস হয়ে গিয়েছিল বলে জানান এমভি আব্দুল্লাহর প্রধান কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ খান।
এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের লাল গালিচা সংবর্ধনা দিতে প্রস্তুত ছিল বন্দর, স্বজনরা এসেছিলেন ফুল নিয়ে।
জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়ার পর নাবিকদের কাছে পেতে স্বজনদের এক মাসের অপেক্ষার অবসান হলো।
এমভি আব্দুল্লাহর ক্যাপ্টেন আব্দুর রশিদ বলেন, স্ট্রং ছিলাম, আমরা দুর্বল হয়ে পড়িনি।
ছেলে ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমদের প্রিয় সব খাবার রান্না করেছেন মা জোৎস্না বেগম।
গতকাল সন্ধ্যায় কুতুবদিয়ায় নোঙ্গর করে এমভি আব্দুল্লাহ
জাহাজটি যে গতিতে চলছে তাতে আগামীকাল সন্ধ্যা বা রাতের মধ্যে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।
জাহাজটি চট্টগ্রামে পৌঁছাতে দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
‘যত দ্রুত সম্ভব নাবিকদের উদ্ধারের লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।’
‘জাহাজের খাবার ও পানির মজুত যাতে দীর্ঘ সময় চলে এ জন্য সবাইকে অল্প খাবার দিচ্ছে।’
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে জলদস্যুরা আক্রমণ করার সময় জাহাজটিতে ২৫ দিনের খাবারের মজুদ ছিল বলে আগে জানিয়েছিল মালিক পক্ষ।
আজ বিকেলে চট্টগ্রামে কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (কেএসআরএম) শীর্ষ কর্মকর্তারা জিম্মি জাহাজটিতে থাকা নাবিকদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। তারা একসঙ্গে ইফতারও করেছেন।
ইইউর যুদ্ধজাহাজটি জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহ থেকে কয়েক নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছে।
‘আশা করছি আলোচনা শুরু হলে এই সমস্যার সমাধান হবে।’
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে উদ্ধারে সোমালি পুলিশ এবং আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার সোমালি পুলিশের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ছিনতাইকারী সোমালিয়ার জলদস্যুরা আজ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের সহযোগী সংস্থা এসআর শিপিং লিমিটেডের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
ছেলের বরাত দিয়ে মা বলেন, ‘আজ দুপুরে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে পৌঁছালে জলদস্যুদের আগের দলটি জাহাজ থেকে নেমে যায় এবং আরেকটি দল জাহাজে ওঠে।’
‘জলদস্যুরাও আমাদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করছে, আমাদের পানি ব্যবহার করছে, আমাদের খাবার আর কতদিন যাবে সেটা বলতে পারছি না। আর হয়তো ১০-১৫ দিন বড়জোর যেতে পারে।’