জিম্মি নাবিকদের দ্রুত উদ্ধারে কাজ চলছে, পরিবারের সদস্যদের কেএসআরএম কর্তৃপক্ষের আশ্বাস

এমভি আব্দুল্লাহ। ফাইল ছবি সংগৃহীত

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের অতিদ্রুত মুক্ত করে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে পরিবারের সদস্যদের আশ্বাস দিয়েছে জাহাজটির মালিক কর্তৃপক্ষ।

আজ বিকেলে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে একটি হোটেলে কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (কেএসআরএম) শীর্ষ কর্মকর্তারা জিম্মি জাহাজটির ২৩ নাবিকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা একসঙ্গে ইফতারও করেছেন। নাবিকদের উদ্ধার প্রক্রিয়া সফলভাবে শেষ করা পর্যন্ত তারা পরিবারের সদস্যদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানান।

চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা জিম্মি নাবিকদের পরিবারের সদস্যরা আগ্রাবাদের ওই হোটেলে উপস্থিত ছিলেন।

সেখানে উপস্থিত এক জিম্মি নাবিকের মা বলেন, কেএসআরএম কর্মকর্তারা পরিবারের সদস্যদের উদ্বিগ্ন না হতে বলেছেন।

'তারা (কর্মকর্তারা) আমাদের ধৈর্য ধরার জন্য অনুরোধ করেছেন। তারা নাবিকদেরকে মুক্ত করে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সবকিছু করছেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

নোয়াখালী থেকে আসা একজন নাবিকের বাবা বলেন, নাবিকদেরকে অক্ষত অবস্থায় বাড়ি ফিরিয়ে আনাতে প্রয়োজনীয় কাজ করা হচ্ছে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

তবে এ ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য কেএসআরএমের কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা যায়নি।

এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জিম্মিদের মুক্ত করার ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, যতদ্রুত সম্ভব তাদেরকে মুক্ত করার চেষ্টাই আমরা করছি। এখানে অবস্থানকারী নাবিক এবং জাহাজের যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেভাবেই আমরা উদ্ধার করার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, 'জাহাজের মধ্যে কয়লা আছে, কয়লা একটি দাহ্য পদার্থ। সুতরাং এমন কিছু করা যাবে না যাতে করে দাহ্য পদার্থ হুমকির সম্মুখীন হয়, জাহাজের ক্ষতি হয়। সেভাবেই আমরা এগুচ্ছি এবং যারা জাহাজটি হাইজ্যাক করেছে, তারা ইতিমধ্যে মালিক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছে, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও এ ব্যাপারে আমাদেরকে সহযোগিতা করছে এবং আপনারা নাবিকদের পরিবারের সাথে কথা বললেও জানতে পারবেন তারাও অনেকটা আশ্বস্ত। আশা করছি, আমরা সহসা নাবিকদেরকে উদ্ধার করতে পারব।'

 

Comments

The Daily Star  | English

4.8 lakh narcotics cases pending despite deadline

Judge shortage, lack of witnesses, inadequate court infrastructure blamed for delays

6h ago