হামলার অনেকগুলোই ঘটেছে ত্রাণের খোঁজে আসা ক্ষুধার্ত, দুর্বল ফিলিস্তিনিদের ওপর।
বিশ্বে শিশুদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক জনপদে পরিণত হওয়া গাজায় বেঁচে থাকা সব উদ্বাস্তু ও মৃত্যুভয়তাড়িত শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর দায় নিয়েছেন পাপেটশিল্পী মেহেদি কারিরা।
গাজার রাফায় ইসরায়েলের হামলার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে হামলা চালানো থেকে ইসরায়েলকে বিরত থাকতে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪২ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৬৩ জন আহত হয়েছেন।
গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় এতদিন নীরব সমর্থন দিয়ে আসলেও এবার প্রকাশ্য সমালোচনা করেছেন দেশটির প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৬৪ হাজারের বেশি মানুষ।
কোভিড পরবর্তী বিশ্ব বেশ ক্লান্ত। উচ্চ মূল্যস্ফীতি, তহবিলের স্বল্পতা থেকে শুরু করে চলমান যুদ্ধ এবং বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক অস্থিরতায় বেশ উত্তেজনাপূর্ণ কেটেছে ২০২৩ সাল। তবে বছরটি আরও খারাপের দিকে মোড়...
ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরের জাহাজগুলোয় হামলা চালাচ্ছে। তাদের ভাষ্য, গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের শোধ নিচ্ছে তারা।
গাজায় যুদ্ধের প্রথম মাসে ইসরায়েল শত শত বিশালাকার বোমা ফেলেছে। যার অনেকগুলোই বিস্ফোরণস্থল থেকে এক হাজার ফুটেরও বেশি দূরত্বে মানুষ হত্যা বা আহত করতে সক্ষম।
হামাস বলেছে, ইসরায়েলের ‘অভিশপ্ত ইতিহাস’ হবে গাজা।
গাজার সবচেয়ে বড় শরণার্থীশিবির জাবালিয়া রিফিউজি ক্যাম্পে ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলায় বাবা ও দুই বোনসহ পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারিয়েছেন গাজায় আল জাজিরা ব্যুরোর সম্প্রচার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু আল-কুমসান।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ছয় প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড, টনি অ্যাবট, ম্যালকম টার্নবুল, স্কট মরিসন, কেভিন রুড এবং জুলিয়া গিলার্ড এক খোলা চিঠিতে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছেন।
হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে এটা তাদের তৃতীয় অভিযান এবং এ ধরনের আরও অভিযান চালানো হবে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় মাত্র ৯৪টি ত্রাণের ট্রাক প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি
‘আমরা গাজায় মাটির ওপর ও নিচে হামলা করেছি। আমরা সব জায়গায় সন্ত্রাসীদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা করেছি। বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা স্পষ্ট: পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে’
এই সংঘাত একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে একটি সংগঠনের। যখন একটি ‘রাষ্ট্র’ জ্ঞাতসারে নির্বিচার হামলা চালিয়ে গাজায় সাত হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করে, যাদের মধ্যে ৪০ শতাংশই শিশু, তাদের দায়টাই কি বেশি নয়?
গাজায় পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট চলছে। বোমা বিস্ফোরণই আলোর প্রধান উৎস। ভেঙে পড়েছে টেলিফোন ও ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা।
এসব খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে আছে পাস্তা, গমের আটা, টমেটো সস, প্রক্রিয়াজাত করা মাছ ও মটরশুঁটি।
ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজার শিশু বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা।